স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। এই কার্ডের মাধ্যমে আর হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে না বেসরকারি হাসপাতালে। এতদিন পর্যন্ত এই কার্ড ব্যবহার করে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যেত বেসরকারি হাসপাতালে। তবে এবার থেকে আর তা করা যাবে না। তবে পখ দুর্ঘটনায় যদি হাড়ে চোট লাগে তবে বেসরকারি হাসাপাতালে এই কার্ডের সুবিধা মিলবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাব না। হাড়ের অপারেশন করা যাবে শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে। নির্দেশিকাতে আরও জানানো হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকলে তবেই বেসরকারি হাসপাতালে কোনও রোগীতে স্থানান্তরিত করা যাবে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবার বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করাতে গেলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে দিয়ে নির্দিষ্ট ফর্মে রেফারাল সার্টিফিকেট বানাতে হবে। তারপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধে মিলবে বেসরকারি হাসপাতালে । আমাদের রাজ্যে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই নিয়ম প্রথম চালু হয়েছিল। এখন সেই মডেলই সামনে রেখে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে একাধিকবার বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই বেনিয়ম ঠেকাতে তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কয়েক সপ্তাহ আগেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেশিবার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা যাবে না। অভিযোগ উঠেছিল, ১০০ জনের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রয়োজন হয়। অথচ বাস্তবে দেখা যায় অনেকেই অহেতুক তা করিয়েছেন। সেজন্য ছ'মাস বা এক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে দ্বিতীয়বার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করতে পারবে না।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অনিয়ম রুখতে এই প্রকল্পের পোর্টালে চিকিৎসা নথি বা শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আপলোড করা হলে তাতে কীভাবে চিকিৎসকের সই থাকতে হবে, সে বিষয়টিও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।