Advertisement

Swati Ghosh Artist : ফের বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন কলকাতার স্বাতী, ইত্যালিতে জিতলেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার

Swati Ghosh Artist : শারদোৎসবে যখন গোটা বাংলা পুজোর আনন্দে ভাসছে, তখন সেপ্টেম্বরের ২৪ থেকে ২৮ তারিখ এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠীত হয়। ২৮ তারিখ এই পুরস্কার গ্রহণ করার পর কয়েকদিন নরওয়েতে দুর্গাপুজো কাটিয়ে ফের মিলানে ফিরে ইকোনিকা গ্যালারিতে ৪-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি আরও একটি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।

স্বাতী ঘোষ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 06 Oct 2022,
  • अपडेटेड 9:17 PM IST
  • ইত্যালিতে জিতলেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার স্বাতী ঘোষ
  • লানের স্নাই সানসিরো হিপোড্রাম রেস কোর্সের প্রদর্শনশালায় একমাত্র ভারতীয় শিল্পী হিসেবে স্বাতী জেতেন 'আর্ট এন্ড ক্যাভালো থ্রোফিও' পুরস্কার

দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালে বিচারকের ভূমিকায় বসে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী স্বাতী ঘোষ। এবার তিনি ইত্যালিতে জিতলেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার। মিলানের স্নাই সানসিরো হিপোড্রাম রেস কোর্সের প্রদর্শনশালায় একমাত্র ভারতীয় শিল্পী হিসেবে স্বাতী জেতেন 'আর্ট এন্ড ক্যাভালো থ্রোফিও' পুরস্কার। উপস্থিত ছিলেন ভারতের কনসাল জেনারেল মিসেস টি আজংলা জামির। 

এই প্রতিযোগিতায় সূর্যের ছবি আঁকেন কলকাতার বাসিন্দা স্বাতী। সূর্য হল শক্তির প্রধান উৎস যা পৃথিবীতে জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। এছাড়াও সূর্যের রশ্মি যা সাতটি রঙ ধারণ করে পৃথিবীকে আলোকিত করে অন্ধকার দূর করে এবং পৃথিবীর জীবনকে মহৎ কাজ করার ক্ষমতা দেয়। সেই জ্বলন্ত সূর্যের সামনে শক্তির আর এক প্রতীক সুর্যের সাত রঙের সাতটি ঘোড়া ছুটে চলেছে।

এই ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন স্বাতী

'পাওয়ার অফ এনার্জী' নামে এই অভিনব অয়েল পেন্টিঙের মাধ্যমে  সূর্যের রশ্মি শক্তি এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক ঘোড়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত করেছেন কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের বাসিন্দা বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী স্বাতী ঘোষ। 

আরও পড়ুন : 4G সিমেই মিলবে 5G কানেশকন, বড় UPDATE

শারদোৎসবে যখন গোটা বাংলা পুজোর আনন্দে ভাসছে, তখন  সেপ্টেম্বরের ২৪ থেকে ২৮ তারিখ এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠীত হয়। ২৮ তারিখ এই পুরস্কার গ্রহণ করার পর কয়েকদিন নরওয়েতে দুর্গাপুজো কাটিয়ে ফের মিলানে ফিরে  ইকোনিকা গ্যালারিতে ৪-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি আরও একটি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। যেখানে তাঁর প্রকৃতি ও মানুষের  জীবনের উপর আঁকা তেল রঙের আরও পাঁচটি ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।

স্বাতী জানান, 'একমাত্র ভারতীয় হিসেবে এই পুরষ্কার পেয়ে আমি খুবই খুশি। আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছি গুরুদেব যোগীরাজ শক্তি কিঙ্কর লাহা রয়,তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের সকলকে।' 

Advertisement

স্বাতীর জন্ম জামশেদপুরে। বাবা পার্থ সারথি রায় চৌধুরী ছিলেন ডিফেন্সে। বাবা ভালো মূর্তি তৈরি করতেন। মা পর্না সুন্দর আলপনা আঁকতেন। সেই সুবাদে কানপুরের বাড়িতেই বাবা-মা'কে দেখে তাঁদের দুই বোনের চিত্র শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। 

আরও পড়ুন : Jio 5g ডেটা মিলছে সম্পূর্ণ ফ্রি-তে, কীভাবে পাবেন ?

স্বাতী বিজ্ঞানে স্নাতক হলেও  চারুকলায় ডিপ্লোমা করে স্পেন, ইত্যালি, সিঙ্গাপুরে বেশ কিছু শিল্প কর্মশালায় যোগ দেন। স্বাতী জানান,তাঁর চিত্রকর্মগুলি প্রকৃতির সাথে মাঝিদের সম্পর্ক স্থাপন করে।
 
তাঁর সমুদ্রের দৃশ্য এবং ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিং তাদের রঙ, বুনুনি এবং শৈলীর খুব জাঁকজমক এবং বৈসাদৃশ্য ব্যাপকভাবে ভিন্ন অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। স্বাতী শিল্পে বিশ্বাসী। ভারত, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, ইত্যালি, সুইজারল্যান্ড, ভ্যাটিকান চ্যান্সেলারি প্যালেস, নিউইয়র্ক এবং মালদ্বীপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য গ্যালারি এবং জাদুঘরে স্বাতীর কাজ প্রদর্শিত হয়েছে। কর্মসূত্রে স্বামী প্রসেনজিৎ ঘোষ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে যান। সেই সুবাদে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণেরও সুযোগ পেয়েছেন স্বাতী। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement