Tallah Bridge Reopening: অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। দুর্গাপুজোর আগেই খুলে যাচ্ছে টালা ব্রিজ। চার লেনের হবে নয়া ব্রিজ। এর ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়।
৪৬৮ কোটি খরচে তৈরি
এটা ৮০০ মিটার লম্বা। খরচ পড়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে রেল টালা ব্রিজের নকসার অনুমোদ দিয়েছে। পূর্ত দফতর সেই নকসা তৈরি করেছে। তারপর কাজও শুরু হয়ে যায়। ওই সেতু তৈরি হয়ে গেলে অজস্র মানুষের উপকার হবে।
মন্ত্রী জানান
এদিন পুলকবাবু জানান, পুজোর আগেই টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পালন করব। প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ জানান, টালা ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ। একদিন পরিদর্শনে যাবেন। সেপ্টেম্বরে তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করার কাজে হাত দেয় সরকার। তখন টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেতুর গায়ে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই ভেঙে নতুন সেতু করার কথা বলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: 'ভারতরত্ন' লতা মঙ্গেশকর পেয়েছেন অজস্র সম্মান, দেখুন কী কী
আরও পড়ুন: ভারতে শিগগিরি Hyundai-এর ছোট গাড়ি, কড়া চ্যালেঞ্জে ফেলবে Tata Punch-কে
আরও পড়ুন: জিনস-ছোট টপে Monalisa যেন ছটফটে তরুণী, ফিরলেন কাজে
তাঁদের পরামর্শ মেনে সেতু ভাঙা শুরু হয়। তারপর নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়। টালা সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। আর এর জেরে বিস্তর সমস্যায় মানুষেরা। কলকাতার উত্তর এবং উত্তর শহরতলির বাসিন্দারা প্রবল সমস্য়ায় পড়েছেন। ঘুরপথে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। এর ফলে টাকা এবং সময় দুটোই অনেক বেশি লাগছে। নিত্যদিন নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের।
টালা সেতু চার লেনের। জানা গিয়েছে, এটি তৈরি করতে খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা। মাঝেরহাট ব্রিজের মতো এটিও কেবল স্টেড রেলওভার ধাঁচের হবে।
ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট ব্রিজ
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু হঠাৎই ভেঙে পড়ার পর সব সেতুর সঙ্গে টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। বিশেষজ্ঞরা মত দেন সেতু ভেঙে ফেলার।
২০১৯ সালের পুজোর আগে সেতুতে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে টালা ব্রিজ যান চলাচলের সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ভাঙার কাজ শুরু হয়।
লকডাউন পর্বেও টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ চলতে থাকে।সম্প্রতি ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ শেষ নতুন করে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পিলার পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে লারসেন এন্ড টুব্রো কর্তৃপক্ষ সেতুর নীচে অনেক অসুবিধা আছে। তার মধ্যে গ্যাস, কেবল, টেলিফোন লাইন। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে নবনির্মিত মাঝেরহাট ব্রিজ খুল দেওয়া হয়েছে।