বাংলায় এসে বারবার সন্দেশখালি ইস্যুতে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার কারও নাম না করে মমতার দাবি, সন্দেশখালি নিয়ে ভুয়ো 'সন্দেশ' দিয়েছেন অনেকে। বিজেপি-কে নিশানা করে বললেন, 'মণিপুরে মহিলারা যখন জ্বলছিল, নগ্ন প্যারেড হচ্ছিল, কোথায় ছিলেন? হাথরস যখন হচ্ছিল, কোথায় ছিলেন? পিন্টুবাবু কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়?' 'পিন্টুবাবু' বলতে তিনি বিজেপি-কে বোঝাচ্ছেন, তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে তা আলাদা করে বলেও দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।
'হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না'
সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতার দাবি, হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না। তাঁর কথায়, 'সন্দেশখালি নিয়ে অনেকে ভুয়ো সন্দেশও দিয়েছেন। সন্দেশ মানে সংবাদও আছে। হতেই পারে,হাতের পাঁচ আঙুল সমান নয়। কিছু জায়গায় যদি কিছু অন্যায় হয়েও থাকে, আমাদের নলেজে এলেই অ্যাকশন নিই। আজ বিজেপির কাজ একটাই, তৃণমূল কংগ্রেসদের কেস দাও। ইডি দাও। সিবিআই লাগাও। জেলে পুরে দাও। আর জোর করে ইলেকশনে জেতো। বাংলা নিয়ে এত গুস্সা কিঁউ হ্যায়? পিন্টুবাবু কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়? বদনাম করার দরকার কী? কালও বিজেপি নেতারা বলে গেলেন, এখানে নাকি মহিলারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, মহিলাদের জন্য বাংলা সবচেয়ে সুরক্ষিত রাজ্য।'
পিন্টুবাবু কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়?
পশ্চিমবঙ্গে যে তিনটি জনসভা করেছেন, প্রতিটি জনসভাতেই তুলেছেন সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। বারাসতের জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'ঘোর পাপ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। গোটা বাংলায় সন্দেশখালি ঝড় উঠবে।' যদিও এ ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরাসরি বলেননি প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকেই নিশানা করেছেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও 'পিন্টুবাবু' বলতে তিনি বিজেপি-কে বলতে চাইছেন বলে আলাদা করে দিলেন।
অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে নাম না করে আক্রমণ
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপি যোগ নিয়েও এদিন নাম না-করে নিশানা করলেন মমতা। বললেন, 'বিচারকের চেয়ারে বসে বিজেপিবাবু বিজেপিতে জয়েন করার কথা ঘোষণা করছে। এদের দিকে তাকিয়ে মানুষ বিচার পাবেন? বিজেপি যা বলছে, হজম করে নিচ্ছে। যা বলছে, তাই হচ্ছে। আমি বিচারককে নিয়ে বলতে পারি না, কিন্তু বিচারের রায় নিয়ে বলতে পারি। কোনটা বেঠিক আইনে কোনটা সঠিক আিইনে, আমিও জানি। আমি খুশি, মুখোশটা বেরিয়ে গিয়েছে।'