Subhendu Adhikary Tmc Odisha Train Accident: সোমবার সকালে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে বিমানবন্দরে আটকায় ইডি। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ দেখিয়ে আটকানো হয়। এমনকী ৮ জুন তাঁকে হাজিরার নির্দেশও পাঠানো হয়। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অমানবিকতার প্রশ্ন তোলেন। এ নিয়ে এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক ও শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলেও কটাক্ষ করেন।
আরও পড়ুনঃ রেলের চাকরিতে ফিরলেন সাক্ষী-বজরং-ভিনেশরা, আন্দোলনের কী হবে?
আরও পড়ুনঃ গ্যাংটকে ১৬, দার্জিলিঙে কত চলছে? পাহাড়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
শুভেন্দু বলেন, "অভিষেক,রুজিরার গোটা পরিবার চোর"এরপর তিনি একের পর এক আক্রমণবাণ শানান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্বের স্ত্রী কেন থাইল্যান্ডে অ্যাকাউন্টে খুলবেন? সেখানে লালার টাকা ঢুকবে কেন? বিদেশে কেন যান, কী দরকার তাঁর, কী ব্যবসা করেন, ডিসক্লোজ করুন। ২০১৪ সালের আগে তাঁরা ক'বার বিদেশ গিয়েছেন? পরে কেন যাচ্ছেন? কী ব্যবসা করেছেন?" তাঁর অভিযোগ, বিদেশে টাকা পাচারের জন্য মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে মামলা হওয়া উচিত। ব্যাঙ্ককে সোনা কিনে আনা হচ্ছিল, মাত্র একটা ব্যাগ খুলতে পেরেছি কাস্টমস। জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে পুলিশ গ্রিন করিডর করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি এম করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝিকে টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জেলে যাওয়ার কথা তোলেন। তাঁর দাবি, "কানিমোঝির জেল হতে পারলে, রুচিরা নারুলা কেন জেলে যাবে না, মানেকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না কেন? পশ্চিমবাংলার নাগরিক মানুষ হিসেবে জানতে চাই।" তিনি প্রশ্ন তোলেন , " কাস্টমস এই কেসকে হায়ার কোর্টে মুভ করছে না কেন?" পাশাপাশি তিনি বলেন, "কাস্টমস হয়তো ভয়ে এই কাজ করছে না। কারণ এখানে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আগেও এমন এক অফিসার পদক্ষেপ করে পরে বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারেননি।"
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি একাধিকবার সাংসদ, বিধায়ক হয়েছি। আজ পর্যন্ত বিদেশে যাইনি। দরকার হয়নি। তাঁদের কেন দরকার হয়?" তিনি বলেন, আমি যে রুচিরা নারুলার চেক দেখিয়ে বেড়াই, আমার বিরুদ্ধে ডিফেমেশন করে না। কারণ এটা সত্যি।তাঁরা প্রমাণিত চোর।" তিনি আবার এর মাঝে নিজের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। আমার অ্যাকাউন্টে ৫ টাকা পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে দিত না। ৩০ টা মামলা দিয়েছে আমাকে, কিচ্ছু প্রমাণ করতে পারেননি।
দু'জন রেল আধিকারিকের ফোনের কথোপকথন তৃণমূল ভাইরাল করছে। সিবিআই ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে। এই কল রেকর্ডটা তদন্তের আওতায় আনা হোক। দু'জন রেল আধিকারিকের গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন কে রেকর্ড করল। কলকাতা পুলিশ করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বোঝা গিয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "এই রেকর্ঢ পুলিশ অর্থাৎ এসটিএফ করেছে। আর তৃণমূলকে সাপ্লাই দিয়েছে।" তিনি সব জায়গায় এই তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান। এই বিষয়টি তদন্ত না হলে পিটিশন দায়ের করব।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রচারসর্বস্ব মুখ্যমন্ত্রী বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, "লোকের ঘরে শোক কাটেনি।৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য,. নিজের প্রচার করতে মঞ্চে উঠে নিজের ছবি তুলতে আর, এপাং ওপাং ঝপাং করতে শুরু করলেন। ছবি তুলবেন। মুখ্যমন্ত্রী বরং নিজের ছবি দিয়ে, খামে টাকা ঢুকিয়ে, পুলিশকে দিয়ে ভিকটিমদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিন। পুরো ইনসিডেন্টের পিছনে তৃণমূল আছে। নাহলে সিবিআই নিয়ে তৃণমূল প্যানিক করছে কেন?"
তাঁর প্রশ্ন বিহারের এতজন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে মারা গিয়েছে, তারাও তো বিজেপি বিরোধী, তাঁরা তো এমন করছেন না। আপনারা এত জ্বলছে কেন? তদন্ত হওয়া উচিত।"