কলকাতায় এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূলের যুব সভাপতিকে চড় মারার অভিযোগ উঠল দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে শোভাবাজার এলাকায়। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এই ঘটনার প্রতিবাদে বড়তলা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল যুব নেতার অনুগামীরা।
ঠিক কী ঘটেছে?
ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কলকাতার ১৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকার তেড়ে গিয়ে চড় মারছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি কেদার দাসকে। সূত্রের খবর, কেদার সুনন্দার বিরোধী গোষ্ঠী।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল?
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেন ওই যুব নেতা। তারই জেরে এই গোলমাল বাধে। কাউন্সিলরের স্বামীর মাথা ফাটানোর অভিযোগও উঠেছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সুনন্দার সঙ্গে কেদারের দ্বন্দ্ব চলছিল।
তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, 'ওর (কেদার) হাতে ইট ছিল, সেটা কাড়তে গিয়েই চড় মেরেছি। অনেক বার থানায় জানিয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।' সাট্টা-জুয়া বন্ধ করতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সুনন্দা। তবে তারপরেও স্থায়ী সমাধান হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে কেদার দাবি করেছেন, 'অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি বলে আমায় মারা হয়েছে। এখানে প্রোমোটিং, গাঁজা, জুয়ার এই সব বেআইনি কারবার চলত। আমরা প্রতিবাদ করি।' পাল্টা কেদারের বিরুদ্ধেই সাট্টা-জুয়ায় ইন্ধনের অভিযোগ করেছেন সুনন্দা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'ভিডিয়োটি এসেছে। কী বিষয়ে জানি না। এই আচরণ প্রকাশ্যে হওয়া ঠিক নয়। দুর্ভাগ্যজনক। অনেক সংযত হওয়া উচিত। এই দৃশ্য ঠিক নয়। একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। যদি কেদারের দোষও থাকে, তবুও এটা হতে পারে না। জেলা নেতৃত্বকে বলব বিষয়টি দেখতে।'
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, 'লজ্জা করে। আমি একদিন এই দলটাতে ছিলাম, ভাবলে লজ্জা করে।' সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, 'তৃণমূলে মুষল পর্ব চলছে।'
আগামী রবিবার তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। তার আগে খাস কলকাতায় তৃণমূলের কোন্দল যেভাবে প্রকাশ্যে এল, তাতে বাংলার শাসকদলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।