Kunal Ghosh Suvendu Adhikary: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পোস্টে উল্লেখ ছিল, রাজ্যের কোন কোন মন্ত্রী কবে গ্রেফতার হয়েছেন। একই সঙ্গে খোঁচা দিয়ে লিখেছিলেন, এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠক এবং বিধানসভার অধিবেশন হয়তো জেলের মধ্যে হবে। সেই পোস্টকেই শেয়ার করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বিজেপির ওয়াশিং মেশিন রাজনীতির জন্য শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ব্যাপারটি সহজ হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে খাঁচার সারমেয় ইডি এবং সিবিআইকে লেলিয়ে দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করেছে যে এটি রাজনৈতিক কারসাজি। ষড়যন্ত্র না হলে এতদিনে শুভেন্দুরই জেলে থাকার কথা।
শুভেন্দু তাঁর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি তালিকা পোস্ট করেন। তাতে রাজ্যের গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রীদের নাম লেখা রয়েছে পাশে কে কবে গ্রেফতার হয়েছেন, তার তালিকা রয়েছে। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু,.তারপর মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম উল্লেখ রয়েছে। সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘এর পর হয়তো মন্ত্রিসভার বৈঠক এবং বিধানসভার অধিবেশন জেলের মধ্যে ডাকতে হবে।’’
শুভেন্দু ইডির উদ্দেশে এক্স হ্যান্ডেলে আরও লিখেছেন, রেশন দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক। প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। কিন্তু মমতা তাঁর তৃতীয় মেয়াদে জ্যোতিপ্রিয়ের দফতর বদলে দেন। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষকে খাদ্য দফতরের দায়িত্ব দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে বন দফতরের দায়িত্ব দেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, ১০ বছরে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা থেকে নিজেকে বাঁচাতেই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র দফতর বদল করেছিলেন।
কী বললেন কুণাল?
শুভেন্দুর সেই পোস্টকে উল্লেখ করে কুণাল বলেন, ‘‘শুভেন্দু, আপনি আপনার দলের ওয়াশিং মেশিন রাজনীতির জন্য আজকে নিরাপদে রয়েছেন। খাঁচার কুকুর ইডি এবং সিবিআইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী নেতাদের উপর। বিজেপি প্রমাণ করে দিয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। নইলে আমরা সবাই জানি, আপনারও জেলে বসে থাকা উচিত ছিল। এরপর তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট নিয়েও বলেন, গ্রেফতার হলে আর এ সব মিম পোস্ট করতে পারতেন না।’’ পাশাপাশি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিবিআইকে যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই চিঠির প্রতিলিপিও পৃথক পোস্টে দেন কুণাল। দাবি জানান, অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, ‘‘এই বেলা আপনারা নীরব কেন?’’
তৃণমূলের বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শশী পাঁজাও নারদা প্রসঙ্গ তুলে বলেন, শুভেন্দু পা ধরে বেঁচে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে যখন তল্লাশি চলছে তখন, কালীঘাটের বাড়ি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কাক-পাখি ডাকার আগেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ইডি।