Advertisement

কুণাল বললেন, 'বিকৃত, সমকামী এক নেতা,' সুকান্তর পাল্টা, 'মুখের আদল'

বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর থেকেই তৃণমূল-বিজেপির তোপ, পাল্টা তোপ চলছেই। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ  এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা এবার শালীনতার সীমা ছাড়াল। দু'জনেই নাম না করে দুই দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্তরের অভিযোগ তুললেন। 

কুণাল বললেন, 'বিকৃত, সমকামী এক নেতা,' সুকান্তর পাল্টা, 'মুখের আদল'
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Sep 2022,
  • अपडेटेड 5:20 PM IST
  • নাম না করে বিজেপির নেতার উদ্দেশ্যে সমকামী বললেন কুণাল
  • পাল্টা তৃণমূলের কোনও নেতার মুখের আদলের গল্প শোনান সুকান্তও
  • রাজনৈতির তরজায় সরগরম বাংলা

বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর থেকেই তৃণমূল-বিজেপির তোপ, পাল্টা তোপ চলছেই। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ  এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা এবার শালীনতার সীমা ছাড়াল। দু'জনেই নাম না করে দুই দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্তরের অভিযোগ তুললেন। 

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নাম না করে বিজেপির এক নেতাকে সমকামী বলে তোপ দাগেন। তবে তিনি কাকে বলছেন তা খোলসা করেননি। তিনি তারপরই অবশ্য বলেন, 'আমি শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্যে করে এ কথা বলছি না।' তাহলে কাকে বলছেন? তিনি তা প্রকাশ করতে রাজি হননি। অন্যদিকে আগের দিনই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছিলেন একই ধরণের ইস্যুতে। ফলে কুণালের ইঙ্গিত সে দিকেই কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

তিনি বলেন, 'তৃণমূলের এক নেতার পুরুষ দেহরক্ষীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। জানাজানির ভয়ে তাঁকে খুন করা হয়। পুলিশ যেন তদন্ত করে। যৌনবিকৃত সেই নেতা কে, এটা পুলিশ সামনে আনুক।'

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গ কানে যেতেই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এ ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণে তাঁরা বিশ্বাস করেন না। যদিও তিনি এরই মধ্যে একটি প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে জানিয়েছেন, 'আমরা তৃণমূলের কারও মুখের আদল কার মতো তা নিয়ে কখনও আলোচনা করি না। এ ধরনের ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ আলোচনা না করাই ভাল।'

শুভেন্দু নিজেও এনিয়ে মন্তব্য করবেন না বলে জানালেও শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, "যিনি ভাইপোর বেতনভুক কর্মচারী, যিনি সাড়ে ৩ বছর জেল খেটেছেন, তাঁর কোনও কথার আমি উত্তর দেব না।"

কয়েক দিন আগে কলকাতা বন্দরে আটক হওয়া ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসলে এসেছিল তৃণমূলের এক কর্মীকে সরবরাহ করার জন্য বলে অভিযোগ তোলেন সুকান্ত। প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল বলে দাবি। বিজেপির দাবি, ওই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা এও দাবি করেন, শরিফুল সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা এবং শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সুকান্তবাবুর অভিযোগ, গিয়ার বাক্সে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে হেরোইন আনা হয়েছিল। তাঁদের দাবি, এরপর শরিফুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও তাঁকে খুঁজে পায়নি বিএসএফ। বিজেপির আশঙ্কা, শরিফুল বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।

Advertisement

সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন যে, তৃণমূল কর্মী শরিফুল এখন কোথায়, সেটা জানাতে হবে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, শরিফুলের সঙ্গে তৃণমূলের দুই নেতার ফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিং তাঁদের কাছে রয়েছে। তবে তা বিজেপি এখনই প্রকাশ্যে আনবে না বলে জানিয়েছেন সুকান্ত।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement