Coal Smuggling Case: কয়লা পাচারকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত জয়দেব খানের সঙ্গে কেন্দ্রী কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশির ছবি তুলে ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যা নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। একই ছবি তার আগে টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ও বাবুল সুপ্রিয়। ফলে পরিষ্কার পুরো বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে সব দিকে আঁটঘাঁট বেঁধেই আক্রমণ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জঘন্যতম সার্কাস চলছে কাতারে, FIFA-কে নিশানা প্রাক্তন মিস ক্রোয়েশিয়ার, কেন?
এদিন কুণাল সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে বিজেপি ও বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠদের তোপ দাগেন। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা-কর্মী এবং তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত দের কয়লা পাচারকান্ডে জেরা, গ্রেফতার করা হলেও অভিযুক্তদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশির ছবি রয়েছে। তাঁকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এর আগেই একই দাবি তুলে টুইটারে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্তদের ছবি শেয়ার করেন অভিষেকও। শুক্রবার প্রহ্লাদ ও জয়দেবের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা ছবি পোস্ট করে টুইটারে লেখেন, ‘দাগি কয়লা মাফিয়া জয়দেব খাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী করছেন। দেশের সম্পদ লুট করে বিজেপির ঝুলি ভরানোর আলোচনা করছেন না কি লুটেরাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সিবিআই এই মাফিয়া-মন্ত্রী চক্রের দিকে নজর দেয় না।’ অন্য দিকে, প্রহ্লাদ-জয়দেবের ছবি প্রকাশ করে কুণালের টুইট, ‘কয়লা চোর আর কয়লামন্ত্রী এক ফ্রেমে। বাঃ কী সুন্দর দৃশ্য।’
বিজেপি ছেড়ে কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেওয়া গায়ক ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও একই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
যাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছবি শেয়ার করছেন তৃণমূল নেতারা, সেই জয়দেবের বিরুদ্ধে আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকায় কয়লা পাচার-সহ নানা বেআইনি কাজে জড়িত থাকা অভিযোগ রয়েছে। এক সময় তৃণমূল ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন জয়দেব। তৃণমূলের বহু কর্মসূচিতে দেখা যেত তাঁকে। তবে ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগ দেন জয়দেব। জয়দেব অনুগামীদের অবশ্য অভিযোগ, বিজেপিতে যোগদান করায় প্রতিহিংসাবশত তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় কয়লা পাচার-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। কিছু বছর কয়েক আগে জয়দেবের ঠিকানায় সিবিআই তল্লাশিও হয়েছিল বলে খবর। সম্প্রতি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জয়দেবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ইদানীং জয়দেবের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে থেকে বাসেই যাওয়া যাবে নেপাল, খরচ মাত্র ১৫০০ টাকা
রাজ্য বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "ছবি প্রকাশ করলে কিছু প্রমাণিত হয় না। মন্ত্রীর সঙ্গে কেউ কোনও ছবি তুলতে পারেনষ কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ করুন। হাওয়ায় অভিযোগ করে হাওয়া গরম করে লাভ নেই।" বিজেপি-তৃণমূলের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, :বিজেপির-সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা রয়েছে। সামনে ঝগড়া হল ভোট ভাগের লড়াই। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। সত্যি কোনও অভিযোগ নিয়ে সদিচ্ছা থাকলে পুলিশ-সিআইডি পাঠিয়ে তদন্ত করাক।"