রাত পোহালেই তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস। প্রতি বছর সাধারণত এই দিনটিতে ধর্মতলায় বিরাট সমাবেশ করে শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের সমস্ত নেতা নেত্রীরা উপস্থিত থাকেন এই সমাবেশে। এবছর করোনার জেরে ২১শে জুলাই শহিদ দিবস ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালন করবে তৃণমূল। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এবার শুধুমাত্র বাংলাতে নয়, ভিন রাজ্যেও চলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে চালানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। তালিকায় আরও কিছু রাজ্যের নামও জুড়তে পারে।
বিধানসভা নির্বাচনের বিপুল জয়ের পরে তৃণমূলের আগামী নজর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। সেই দিকে তাকিয়ে গুটি সাজাতে শুরু করেছে শাসকদল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাত্রাও করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর রয়েছে তৃণমূলের। তারমধ্যে সবথেকে বেশি নজর অবশ্যই ত্রিপুরাতে। একসময়ে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক এই রাজ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। পরে দলত্যাগ করে তারা বিজেপিতে সামিল হন। ফলে পুরনো জমি এই রাজ্যে ফিরে পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশেও নজর রয়েছে তৃণমূলের। আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন। সেই জন্য সংগঠন বিস্তারে মরিয়া ঘাসফুল শিবির।
তামিলনাড়ুতেও দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন। শোনা যাচ্ছে, অসমেও সংগঠন বিস্তারে মরিয়া ঘাসফুল। পাশাপাশি কাকতলীয় ভাবে এবার গুজরাটেও শোনানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। জানা গিয়েছে, গুজরাটের বেশি কিছু জেলায় ২১ শে জুলাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষণ দেবেন, তা শোনানো হবে। মোদীর রাজ্যে মমতার ভাষণ স্বাভাবিক ভাবেই খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে এবারই রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে অবশ্যই রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। শরদ পাওয়ার থেকে শুরু করে গান্ধী পরিবারের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন প্রশান্ত। ফলে বুধবারের ২১শে জুলাইয়ের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেই দিকেই এখন নজর।