কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সারাদেশে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে একাধিক জন এই অপরাধে জড়িত বলে দাবি করেছেন এক চিকিৎসক। অল ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণ গোস্বামী দাবি করেছেন যে তিনি পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পড়েছেন। পিএম রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিলা চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ থেকে ১৫১ গ্রাম তরল পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসক আরও দাবি করেন যে এত বড় পরিমাণ তরল কোনও একজন ব্যক্তির হতে পারে না।
অনেক লোকের ভূমিকা সম্ভব
সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, 'মহিলা চিকিৎসকের শরীরে যে ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে এবং তাঁকে আক্রমণ করার জন্য যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করা হয়েছে, তা কোনও এক ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। লেডি ডাক্তারের পরিবারেরও অনেকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় রয়েছে। গোস্বামী কলকাতা পুলিশের সেই বক্তব্যও খণ্ডন করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে মাত্র একজন অভিযুক্ত।
'কেন মেরামতের কাজ শুরু হল?'
আসলে এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অভিযোগ, এত বড় ঘটনার পরও সেমিনার হল খোলা রাখা হয়েছে। এর পেছনে যুক্তি হল সেখানে মেরামতের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু মেরামতের কাজ সেমিনার হলের পাশের কক্ষে করার কথা ছিল। এমনকি সেমিনার হলের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরাও ছিল না। এটা এক ধরনের অবহেলা। সেমিনার হলের সামনের নির্মাণকাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ধর্মঘটকারী চিকিৎসকরা। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলছেন, প্রমাণ নষ্ট করতেই সেমিনার হলের পাশে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, যে হাসপাতালে এই জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই হাসপাতালের সেমিনার হলটি সিল করে দেওয়া উচিত ছিল। সেমিনার হল কেন সিল করা হল না?
কপিটি এই ইন্ডিয়া টুডের এই কপি থেকে নেওয়া হয়েছে