দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গীতা জয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফিরলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "প্রধানমন্ত্রী গীতা জয়ন্তীর দিন শহরে আসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন।" পাশাপাশি ব্রিগেডে গীতাজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। তিনি বলেন, "ওঁরা সমস্ত বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানাবেন, মুখ্যমন্ত্রীকেও একজন বিধায়ক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে।"
এদিন তিনি ফেরার পথে আমডাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে আগুন জ্বালানো প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, "তৃণমূলের নেতারাই তৃণমূলের দ্বারা পরিচালিত প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। এক কথায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ। তাঁর দলের লোকেদেরই তাঁর প্রশাসনের ওপর ভরসা নেই। এটা লজ্জার বিষয়।" পাশাপাশি আইসি বদলেও কোনও লাভ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সিস্টেম বদলাচ্ছে, তাঁর দাবি।
মালদার বামনগোলায় বেহাল রাস্তার কারণে রোগিনী মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গেও তিনি নিন্দায় সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, এটা শুধুমাত্র মালদায় হয়েছে তা নয়, পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় এ রকম আছে মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন। এমন অবস্থা যে রোগী নিয়ে যেতে গেলে মৃত্যু হয়। এটা এ রাজ্যে কোনও অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়।
মলয় ঘটককে দিল্লি হাইকোর্টের রক্ষাকবচ না দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী যদি আইন না মানেন তাহলে তো মুশকিল। ইডির সামনে তাঁর যাওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি। জয়নগরে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও দুষ্কৃতীরা অধরা বলে মনে করিয়ে দেন সংবাদকর্মীরা। সুকান্তর দাবি, পরিবার সিবিআই চাইছে, আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি। পরিবার যদি আইনি সহায়তা চায় আমরা আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি, আদালতে আসুক।
ভোট হিংসায় নিহতদের পরিবারকে চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এগিয়ে বাংলা সরকার তাই চার মাস সময় লাগলো।
এদিকে বিশ্বভারতীর ফলকে কার নাম থাকবে সেই নিয়ে বিতর্কের মাঝেই রাজভবনের উত্তর গেট রবীন্দ্রনাথের নামে করা হবে বলে তিনি জানান, রবীন্দ্রনাথের নামে হলে কারও কোন ক্ষতি হবে না আশা করি।
এদিন তিনি ক্রিকেট নিয়েও মন্তব্য করেন। ভারতীয় দলের অনুশীলনের পোশাক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কি সবুজ করে দেবেন না কি নীল-সাদা করবেন? মুখ্যমন্ত্রী ওঁর রোহিঙ্গা ভোটব্যাঙ্ককে সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য এই কথাগুলো বলছেন বলে তাঁর কটাক্ষ।
রাজ্যের এজির পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি এজিকে ভদ্র-শিক্ষিত বলে দাবি করেন। তিনি চোর-চিটিংবাজ নন। ওনার বাবা একসময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন তাই তিনি থাকতে পারেননি।