Advertisement

কোভিড নির্দেশিকা না-মানার অভিযোগ, কলকাতার হাসপাতাকে ১০ লক্ষ জরিমানা

কোভিড নির্দেশিকা না-মানায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা করল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। জরিমানার টাকা দিয়ে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হবে। এ ব্যাপারে ৩ সদস্যের এক কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোভিড নির্দেশিকা না-মানায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা করল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (প্রতীকি ছবি)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 Nov 2020,
  • अपडेटेड 3:11 PM IST
  • নির্দেশিকা না-মানায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা
  • ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ
  • ওই টাকায় শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হবে

কোভিড নির্দেশিকা না-মানায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা করল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। জরিমানার টাকা দিয়ে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হবে। এ ব্যাপারে ৩ সদস্যের এক কমিটি তৈরি করা হচ্ছে।

কমিশন সূত্রে খবর, কোভিড নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছিল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাই তাদের ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের প্রত্যেকদিন একটি করে ডিম খাওয়াবে কমিশন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনা সুরক্ষার নামে গত তিন মাসে যত রোগীর কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছিল, সেই সব টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এই ১০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালটি তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) তহবিল থেকে ওই টাকা দেবে।

কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড নির্দেশিকা না মানা হলে তারা কড়া পদক্ষেপ করবেন। এই জরিমানার মাধ্যমে সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। এটা তাদের প্রথম ঘটনা। তাই একটা সুযোগ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল। যদি ভুল শুধরে না নেয় তা হলে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর জন্য ৩ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রয়েছেন লেডি ব্রেবোর্ন কলেজর অধ্যক্ষ শিউলি সরকার, স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের সদস্য ডাঃ মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের ডাঃ বর্ণালী ঘোষ। কলেজ সংলগ্ন এলাকার যেসব শিশুদের পুষ্টির অভাব রয়েছে, তাদের দৈনিক একটা করে ডিম খাওয়াবেন তারা। জরিমানা করা ১০ লক্ষ টাকার তহবিল থেকে ওই ডিম খাওয়ানো হবে। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সাহায্যে চেয়েছে কমিশন। আবেদন করা হয়েছে এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্বল্প মূল্যে সরবরাহ করা হোক। 

Advertisement

কেন এই জরিমানা

ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অমিতাভ চক্রবর্তী এবং তার স্ত্রী চলতি বছর অক্টোবর মাসে ওই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাঁরা সেখানকার ওপিডি-তে যান। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল ইনফেকশন কন্ট্রোল চার্জ হিসেবে ২৫০ টাকা লাগবে। তখন অমিতাভবাবু তাদের স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজারি কথা বলেন কিন্তু কেউ কোনও কথা শোনেনি। এদিকে চিকিৎসককে দেখাতেই হবে। তাই তারা ২৫০ করে মোট ৫০০ টাকা জমা দিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা ওইদিনই স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। 

স্বাস্থ্য কমিশন জানাচ্ছে, তারা অ্যাডভাইজার দিয়েছিল করোনা সুরক্ষার জন্য স্যানিটাইজার চার্জ হিসেবে সর্বোচ্চ দেড়শো ও সর্বনিম্ন ৫০ টাকা নেওয়া যাবে। কিন্তু তিন মাস হতে চলল। এখনও আড়াইশো টাকা করে নিচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল, এমনই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ওপিডিতে যেসব রোগীর থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে, তাঁদের খুঁজে বের করে সব টাকা ফেরত দিতে হবে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement