পুরো লকডাউনের পথে হাঁটতে চায় না রাজ্য সরকার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই কথা জানিয়েছেন। এখন যেমন বিধিনিষেধ রয়েছে, তেমনই বজায় রাখতে চায় রাজ্য। যাতে মানুষের সমস্যা কমে। এদিন নবান্নে তিনি এমনই জানিয়েছেন।
এদিন তিনি বলেন, আমরা এনেক বিধিনিষেধ করেছি। পুরো লকডাউন না করে, লকডাউনের মতো, আচরণ, করি, তা হলে ভাল। হকারদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একদম লকডাউন করলে লোকে খেতেপাবে না। তাই আমরা একটা টাইম বেঁধে দিয়েছি। আমাদের মাস্ক পরতে হবে। হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লোকে তো খাবে বাজার করে। স্বর্ণকাররা চেয়েছিল ১২টা থেকে ৩টে। আরও কিছু ছাত্র-যুব আছে। সিনিয়র চান্স পায়নি। তাদের নিয়ে নেব।
তিনি আরও জানান, আমরা সবাইকে নিখরচায় টিকা দেব। যখনই কেন্দ্র আমাদের দেব। মানুষ এখন বিপদে। হাজারটা কাজ করতে গেলে একটা ভুল হতে পারে। আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন না।
তিনি আরও জানান, বাংলা শান্ত আছে। একটা সরকার জেতার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দেয়। কোনও সৌজন্য আছে? আমাদের তো কর্মী মারা গিয়েছে। আমরা প্রত্যেকের জন্য সাহায্যে এগিয়ে এসেছি।
আরও পড়ুন: এবার উপনির্বাচনের 'ভ্রুকুটি'! ভোট মিটেও মিটছে না যেন
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান কোভিড বেশি হচ্ছে। সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। আমরা প্রচুর কোভিড হাসপাতাল বানিয়েছি। প্লাজমা ব্যাঙ্ক রয়েছে ২০টি। সেন্ট জেভিয়ার্স একটি বিল্ডিং দিয়েছে। কোভিডের ভ্যাক্সিন কিনতে হচ্ছে। অনেক দাম।
তাঁর আবেদন, জনগণ যদি হেল্প করেন সুবিধা হয়। আমাদের আরও বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন। ৩ কোটি টিকা চেয়েছি, পেয়েছি মাত্র ১ লক্ষ। কোভিড সংক্রান্ত কোনও কিছুকে জিএসটি নেওয়া উচিত নয়।
এদিন মমতা বলেন, চেম্বারকে অনুরোধ করছি একটা বাজারে দায়িত্ব নিন। অনেক এনজিও আছে। সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং হবে। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। সবাইকে নিখরচায় করোনার টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আশার মেয়েরা অনেক কাজ করে। তাঁর অভিযোগ, দেশের ৬৫ শতাংশ টিকা বাইরে গেল। মানুষ এখন বিপদে। একদম লকডাউন না করে, লকডাউনের মতো বিধি তৈরি করা দরকার।
তাঁর বার্তা, কোনও ভুল হলে জানান। আতঙ্ক ছড়াবেন না। প্যানডেমিক ল কাজে লাগাতে হবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেছি। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানান তিনি। মমতা জানান, করোনা রোগের নিখরচায় চিকিৎসা হচ্ছে রাজ্য়ে।