WB CM Mamata Banerjee on Tea: অনেকে জানেনই না যে ডায়াবিটিসে আবার লাল চা খেতে নেই। অনেকে ভাবেন ডায়াবিটিসে ভাল হয়ে যাবে যদি লাল চা খাই। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেখানে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করা হয়। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
তাঁর পরামর্শ
তিনি বলেন, "দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করলে ক্যালোরি খরচ হয়। ৩-৪-৫ কিলোমিটার তো হাঁটতেই পারেন। হাওয়া লাগালে ভাল হবে। শরীর ভাল হবে। আধঘণ্টার বেশি এক জায়গায় বসে থাকা উচিত নয়। কখনও কখনও দাঁড়িয়ে কাজ করা উচিত। বরলেই সারাক্ষণ বসে পড়বেন। ওই এক কাপ করে টুকুস টুকুস চা। লালই খান, আর খান আর কালোই খান। চা তো যাচ্ছে পেটের মধ্যে।"
কালীঘাটের ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প
তিনি বলেন, "কালীঘাটে হাত দিয়েছি। ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে স্কাই ওয়াই তৈরি হচ্ছে। কালীঘাটে জায়গা খুব ছোট। আমি প্ল্যান দিয়েছি। দক্ষিণেশ্বর এর আগে এত ভাল দেখিনি। ভোরবেলা আরতি দেখেছি। আগে এসেছি। আজ দক্ষিণশ্বর চোখ মেলে ভাল করে পুরোটা দেখলাম। দেখে মনে হল, একটা আন্তর্জাতিক স্তরের সুন্দর জায়গা।
মমতা বলেন, হেরিটেজ, ট্র্যাডিশনাল, রিলিজিয়াস ব্য়াকগ্রাউন্ড রয়েছে ওদের। সব আছে ওঁদের। এখন জেটি সার্ভিস হয়ে গেছে। রেল সার্ভিস হয়ে গেছে। একদিন হেলিপ্যাড সার্ভিসও করে দেব আমরা।"
আরও পড়ুন: রাতারাতি কোটিপতি বানিয়েছে এই তোয়ালে কোম্পানি, জবরদস্ত রিটার্ন
আরও পড়ুন: শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি, বেলুড় মঠ-কামারপুকুরে কেমন ভিড়?
আরও পড়ুন: হার্বাল আবির-রং কীভাবে বাড়িতে বানায়? শিখল স্কুলের ছাত্রীরা
চাকলা ধাম থেকে শুরু করে, সারা বাংলা জুড়ে ধর্মের অনেক কাজ করেছি। এমন কোথাও নেই, যা করিনি। যোগ করেন তিনি।
দাঙ্গার বিরুদ্ধে
এদিন মমতা বলেন, "দাঙ্গা করে কিছু লোভী নেতা। যাঁদের মাথা নোংরা ডাস্টবিনে ভর্তি। জঞ্জাল তৈরি করে আগুন লাগায়। গাড়ি পোড়ায়। একটা ধর্ম করি বলে অন্য ধর্মকে গালাগাল করব, এই শিক্ষা পাইনি। সবাইকেই বুঝতে হবে। একটা ধর্মের কথা বলছি না। সব ধর্মকে বলছি।"
তিনি বলেন, "আমি নাকি নমাজ পড়ি! আমি ইফতারে যাই। আমি জৈন মন্দিরে যাই। আপত্তির কী আছে? ইচ্ছা করে। তারাপীঠে কী বিরাট ভোগ মন্দির। সব করে দিলাম। নবদ্বীপ, কোচবিহারে হেরিটেড সিটি করে দিয়েছি। বাংলা এমন জায়গা যেখানে দুটো হেরিটেজ সিটি করে দিয়েছি।"
দক্ষিণেশ্বর মন্দির
তিনি বলেন, "অনেক ইতিহাস তো আমাদেরও জানা নেই। ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। হৃদয় বড় করতে হলে মায়ের কাছে আশ্রয় নিয়ে হয়। তা আম্মা, মাদার, মা হতে পারে। রানি রাসমণি ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে স্নান করতে যেতেন। সব ঠিকা জমির মালিক রানি রাসমণি।"
রানি রাসমণি স্মৃতি বিজড়িত ঘাট
মমতা বলেন, "ছোটবেলায় শুনেছি রানি রাসমণি বাড়ির কাছের ঘাটে স্নান করতে আসতেন। সেই জায়গাটা বাধিয়ে দিয়েছি। মা-বাবা বলেছিলেন, এর কাঠামো কখনও চেঞ্জ কোরো না। অনেকে আমাকে গালাগাল দেন। সেটা একটা আর্ট। কুচুটে কৈকেয়ীর মতো। হৃদয় খোলা না বন্ধ। মন ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। যে প্রচার, কুৎসা, অপপ্রচার করছে, তা ওই ডাস্টবিন থেকে। আপনি কেমন, তা আপনার মন বলবে। এখন ছোটদের আইকিউ খুব ভাল।"
তিনি বলেন, "টাকা কখনও মানবিকতার জন্ম দিতে পারে না। অর্থবল, পেশিবল মানবিকতার জন্ম দিতে পারে না। যে হৃদয়ে মানবিকতা নেই, সেটা মরুভূমি। তপোবনের মুনি-ঋষিরা যে কথা বলেছিলেন, সেগুলো কী বলেছিলেন? রামকৃষ্ণ কী বলেছিলেন? টাকা মাটি মাটি টাকা।"
তিনি বলেন, "গাড়ি-বাড়ি থাকবে। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করবে। প্রয়োজনের থেকে বেশি যাঁদের। আজ আছি কাল নেই। যদি একটু রবীন্দ্রনাথ পড়ি, বর্ণপরিচয় পড়ি, তাহলে সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াতে হবে না।"