Advertisement

BJP Street Play In Kolkata: বামেদের মতো 'পথনাটক', BJP-র হল কী? 'বাবার সম্পত্তি নাকি!' প্রতিক্রিয়া রুদ্রনীলের

লোকসভা ভোটের আবহে কি বামেদের পুরনো কৌশলই বিজেপির হাতিয়ার হল? মানতে নারাজ বিজেপির সংস্কৃতি সেলের আহ্বায়ক রুদ্রনীল ঘোষ।

বিজেপির পথনাটক
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 12 Apr 2024,
  • अपडेटेड 3:06 PM IST
  • বামেদের পুরনো কৌশলই বিজেপির হাতিয়ার হল?
  • মানতে নারাজ রুদ্রনীল ঘোষ।

এককালে বামেদের হাতিয়ারেই রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে কাজে লাগাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই শাসক বিরোধী প্রচারে বিজেপির নতুন অস্ত্র 'গণনাট্য'। বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, এটা পথনাটিক। রাজ্যের  ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই এমন পথনাটিক করছে গেরুয়া শিবির। সারদা থেকে সন্দেশখালির ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে সেই সব নাটকে। যার পরিচালনায় নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশক অধিকারী। আর গোটা বিষয়টি দেখছেন বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি জানালেন, পথনাটিক এ দেশের সংস্কৃতি।  

bangla.aajtak.in-কে অভিনেতা তথা বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের সহ-আহ্বায়ক রাজ দে বলেন, 'রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই আমরা পথনাটিকার মাধ্যমে শাসক দলের অত্যাচার তুলে ধরব। ২ হাজারের কাছাকাছি পথনাটিকা মঞ্চস্থ করব। সেখানে সারদা থেকে সন্দেশখালির বিষয় তুলে ধরা হবে। শাসক দলের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষের রুখে দাঁড়ানোর লড়াই। ১১-১২ ধরে চলবে পথনাটিকা'। রাজ আরও জানান,'৫-৬ অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন প্রতিটি দলে। তাঁরা থিয়েটার করেন। মোট ২৯টি নাট্যদল। বিজেপি করায় তাঁদের সকলের কাজ বন্ধ আছে'।

লোকসভা ভোটের আবহে কি বামেদের পুরনো কৌশলই বিজেপির হাতিয়ার হল? মানতে নারাজ বিজেপির সংস্কৃতি সেলের আহ্বায়ক রুদ্রনীল ঘোষ। bangla.aajtak.in-কে তাঁর প্রতিক্রিয়া,'কাউকে নকল করছি না। আর এটা গণনাট্য সেটা কে বলেছে? পালাগান, কীর্তনের মতো পথনাটিকাও এ দেশের সংস্কৃতি। বহু মানুষ দেখতে আসেন। ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্র বহু প্রাচীন। কংগ্রেস পথ নাটক কম করত। সিপিএম সেটা বাড়িয়েছিল। তা বলে সেটা সিপিএমের বাবার সম্পত্তি হয়ে যায়নি?' 

সিপিএমের প্রচারকৌশল অনুকরণের অভিযোগ করেছেন যাদবপুরের বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। bangla.aajtak.in-কে তিনি বলেন,'পথনাটক রাস্তার গরিব মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়। যাঁরা থিয়েটারে যেতে পারেন না। অম্বানি-আদানিদের পার্টি গরিবদের কাছে যাবে কীভাবে? আদানি-অম্বানিদের দালালরা রাস্তার মানুষের কাছে পৌঁছলে সেটা ভণ্ডামি। আমরা রুটি-রুজির কথা বলতাম। ওরা ভুল বোঝাবে। সিপিএমের সব কিছু চুরি করে বেশিদিন টিকবে না।' রুদ্রনীলকে তাঁর কটাক্ষ,'উনি সিপিএমে ছিলেন, তৃণমূল হলেন, তারপর এখন বিজেপি। কোনও কোনও জিনিস ব্র্যান্ডিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে যায়'।

Advertisement

বাংলার ভোট প্রচারের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটে। তা সে দেওয়াল লিখনে অভিনবত্ব হোক বা লোকায়েত গানে প্রচার। রাস্তায় নাটক করে ভোট প্রচারের সংস্কৃতিও বাংলার রাজনীতির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বামেরাই এক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। স্বাধীনতার পর হিংসা-দ্বেষ বিদীর্ণ বাংলায় শুরু হয়েছিল গণনাট্য আন্দোলন। সেই আন্দোলনের হোতারা গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াতেন। নাটকের মাধ্যমে সম্প্রীতি, শাসকের স্বৈরতন্ত্রের কথা তুলে ধরতেন। শম্ভু মিত্র, তুলসী লাহিড়ি, বিজন ভট্টাচার্যরা নাটকের মাধ্যমেই আগুনে প্রতিবাদ করতেন। সেই যুগ বদলেছে। বর্তমান অন্তর্জালের দুনিয়ায় সেই পথনাটকই হাতিয়ার হল বিজেপির। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement