বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই মুরগি পরিবহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। যার জেরে পোলট্রির মুরগী সরবরাহের ক্ষেত্রে সংকট দেখা দিতে পারে। বাজারে নাও মিলতে পারে পর্যাপ্ত পরিমানে চিকেন। যা নিয়ে এখন থেকেই শঙ্কিত সাধারণ মানুষ ও খুচরো চিকেন বিক্রেতারা।
চিকেন পরিবহন বন্ধ হওয়ার খবরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আমজনতা। কারণ, বৃহৎ অংশের মানুষ চিকেনের উপর নির্ভরশীল থাকেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাছের থেকেও সস্তা হওয়ায়, চিকেনের কেনাবেচাও ভালো। তবে যদি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে গ্যাঁটের কড়ি বেশি খরচ করতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে।
চিকেন পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, গত ১২ তারিখ মধ্যরাতে বেলদা থানার অর্জুনি এলাকায় পুলিশের তরফে একটি মুরগি বোঝাই গাড়ি আটক করা হয়। সেই গাড়ির চালকের কাছে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও গাড়িটিকে ছাড়া হয়নি। বরং উল্টে টাকা চাওয়া হয়। পুলিশ যে টাকা চেয়েছিল, সেই টাকা গাড়িচালক দিতে পারেননি। তিনি পুলিশকে ৫০ টাকা দিতে যান। তাতে পুলিশ অফিসাররা রেগে যান। ওই ড্রাইভারকে মারধর করা হয়। টর্চে আঘাত করা হয় ওই চালককে। মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেলদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ব্যক্তিতে। সেখান থেকে মেদিনীপুর হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। এরকম জঘন্য ঘটনা ঘটেই চলেছে।
বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সন্দীপ দাস জানান, 'পুলিশের এই অত্যাচার আজকের নয়। বহুদিন ধরে চলে আসছে। আমরা প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। তবে এবার যে ঘটনা সামনে এল তা জঘন্য। পুলিশের এর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৮ তারিখ মধ্যরাত থেকে পোলট্রির গাড়ি চলাচল বন্ধঘ থাকবে। এই বন্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।'
বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের আর এক সদস্য জানান, 'পুলিশ এভাবে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা করে থাকে। বন্ধের ফলে সাধারণ মানুষ বা রেঁস্তরার সমস্যা হবে। তবে পুলিশের অত্য়াচার বন্ধ না করতে পেরে এই পথে হাঁটছি। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন থানায় গিয়ে জানিয়েছি। তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি। আমরা চাই নবান্ন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।'
যদিও পোলট্রি সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হলেও তা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সরকারের তরফে।