বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মূল দুই অভিযুক্তকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। সেই সম্পর্কে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'ওরা বাংলার বাসিন্দা নয়। ওরা বাংলায় লুকিয়ে ছিল। ২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ধরে ফেলেছি।'
মমতা সভা থেকে বলেন, বিজেপির এক ফোরংবাজ বলেছে, বেঙ্গালুরুতে একটা বোমা প়ড়েছিল। লোকগুলোও কর্নাটকের। তারা বাংলার কেউ নয়। আমি বল তোর বাংলা সেফ, দিল্লি সেফ, বিহার সেফ, উত্তরপ্রদেশ সেফ, তোর রাজস্থান সেফ? বাংলার মানুষ শান্তিতে থাকে। এদের শান্তি হয় না। অত্যাচারের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির জন্য তারা কী কাজ কাজ করেছে?'
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই সন্দেহভাজন কাঁথি থেকে গ্রেফতার হয়। শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA এই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। তারপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি কাঁথির প্রসঙ্গ তোলেন।
এদিনের সভা থেকে জবপাইগুড়ির ঝড়ে বিপর্যস্ত পরিবারগুলির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা বলেন, 'অসমকে ওরা উৎসবের টাকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। যাঁরা ২০ হাজার পেয়েছেন, প্রশাসন আবার ৪০ দেবে। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার প্রশাসন পৌঁছে দেবে। যাঁদের ঘর ভেঙেছে, ঘর তৈরি করতে শুরু করুন।’
লোকসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারে বিজেপি চক্রান্ত করার চেষ্টা করবে বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উদয়ন গুহকে পরামর্শ দেন, তিনি যেন মাথা ঠান্ডা করে রাখেন। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে যেন এলাকায় শান্তি থাকে। কেউ যেন বাইক বাহিনী নিয়ে দাপট দেখাতে না পারে।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে কী কী কাজ করেছিলেন তারও খতিয়ান তুলে ধরেন। বলেন, ‘কোচবিহার স্টেশন নতুন করে করেছি। বিমানবন্দর করেছি। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি সব আমি করে দিয়েছি। আমরা করব সব, আর ভোট পাবে বিজেপি, তা কখনও হয়?'