Mamata On Buddhadeb Bhattacharya: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে তিনি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। এতটাই যে অসাবধানে তাঁর হাত কেটে যায়। গলগল করে রক্তও বের হতে থাকে। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে এ কথা জানান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ মমতা যান বুদ্ধবাবুর ফ্ল্যাটে। যে ফ্ল্যাটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেষ সময়ে থাকতেন, তিনি সেখানে যান ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সমবেদনা জানান ও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মমতা এদিন বুদ্ধবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার রাজ্যে পূর্ণ দিবসের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, "রাজ্য সরকারের তরফে সম্মান জানানো হচ্ছে। সাড়ে ১২টায় বডি পিস ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। তাঁর দেহদান করা আছে। আজ রাজ্য সরকারের তরফে ফুল ডে ছুটি। শুক্রবার তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্য়ালুট দিয়ে সম্মান জানানো হবে।"
তিনি জানান, পিস ওয়ার্ল্ডে না রেখে যদি তাঁর দেহ রবীন্দ্র সদন বা নন্দনে রাখতে চান তাহলে সে বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে। তাঁর বক্তব্য, "তাঁকে শেষ দেখা সবাই যেন দেখতে পান। তাই এটা করা যেতে পারে। তাঁর দেহ বিধানসভাতেও নিয়ে যেতে বলেছি। তিনি দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। অনেক ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর মৃ্ত্য়ু রাজনৈতিক ক্ষতি।"
মমতা জানান, বুদ্ধবাবু যতবার ভর্তি হয়েছেন, ততবার তিনি গিয়েছেন। এর আগে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন। যদিও তাঁর মৃত্যুর বয়স হয়নি। শ্বাসকষ্ট ছিল। দলের সকলকে ও বামফ্রন্ট ও সহ নাগরকিদের সকলকে শ্রদ্ধা ও সমবেদনাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "তাঁর সামাজিক অনেক কনট্রিবিউশন রয়েছে। আসুন প্রার্থনা করি, তিনি পার্থিব জগত থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু মানসিক জগতে থেকে যাবেন।" মমতা বলেন, "বারবার তিনি ফিরে আসুন বাংলার মাটিতে।"
তিনি এরপর জানান, অন্য সব প্রোগ্রাম ক্যানসেল করেছেন। কিন্তু আগে থেকে ঠিক করা ও সেন্টিমেন্টের ব্যাপার থাকায় ঝাড়গ্রামে যাবেন। এমনকী এই ঘটনা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন বলেও জানান। তিনি বলেন, " সকালে খবর পেয়ে হঠাৎ স্তম্ভিত হয়েছি। হাত ঘষে গিয়ে গলগল করে রক্ত বেরিয়েছে। অন্য় প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করেছি। আমি অন্য দল করলেও তাঁদের প্রতি সম্পূর্ণ সমবেদনা থাকবে। এমনকী তাঁর সঙ্গে দেখা হলে অনেক গল্প করতেন বলেও জানান। তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে, গোপাল গান্ধী রাজ্যপাল ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যে পথে যেতে হবে, সে পথে তুমি একা....."। এ কথাগুলি মনে পড়ে। তবে যখনই কোনও দেশীয় বা আন্তর্জাতিক ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে আমি সেখানে গিয়েছি।"