হাঁপানি, গ্লকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ-সহ আটটি জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম একধাক্কায় বেড়েছে। প্রায় ৫০ শতাংশ করে দাম বাড়ানো হয়েছে। তা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করা হোক। চিঠিতে এই আবেদন তিনি করেন।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ-র তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, ওই সমস্ত ওষুধ তৈরির খরচ বৃদ্ধির কারণে দাম বাড়ানো হয়েছে। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন, এই দাম বাড়ানোর ফলে সবথেকে বেশি বিপাকে পড়বে সাধারণ মানুষ। তাদের উপর আগে থেকেই দামের বোঝা রয়েছে। এখন যদি ফের দাম বাড়ানো হয় তাহলে তারা যাবে কোথায়?
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখেন, ' যক্ষ্মা, হাঁপানি, থ্যালাসেমিয়া, চোখের সমস্যা নিরাময় করে এমন সব ওষুধের দাম ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস আগেই এনপিপিএ ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বাড়িয়েছিল। এই দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়বে। অনেকের বাড়ির সদস্য জটিল রোগে ভুগছে। তার মধ্যে এই দামবৃদ্ধি তাদের আরও বিপদে ফেলবে।'
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, এই অপ্রত্যাশিত মূল্যবৃদ্ধির ফলে রাজ্য এবং দেশের চিকিৎসা প্রচেষ্টা ব্যহত হবে। তিনি আরও লেখেন,নিত্যদিনের ব্যবহৃত জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ এমনিতেই নাজেহাল তার মধ্যে ওষুধের দাম বৃদ্ধি আরও বিপাকে ফেলবে জনজীবনকে। সেই কারণে এই দামবৃদ্ধি এড়িয়ে চলা উচিত।