রাজ্যের কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার। বুধবার এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি রবি মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যে সব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২ লক্ষ ১০ হাজার কৃষককে এই টাকা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্কটা হল ২৯৩ কোটি টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। সব টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে চাষিদের। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
চলতি মরসুমে বৃষ্টি-রৌদ্রর মতো আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জন্য অনেক চাষিকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। শস্যবীমার প্রিমিয়ারে তাঁদের পুরো টাকা রাজ্য সরকার দিচ্ছ। এই বিমার জন্য আলাদা করে টাকা দিতে হবে না চাষিদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের ও বর্গাদারদের বছরে দুই কিস্তিতে একর প্রতি ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যাঁদের কম জমি আছে, তাঁরাও আনুপাতিক হারে কমপক্ষে ৪ হাজার টাকা করে পান।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে এই প্রকল্প চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই প্রকল্পে মোট ১৮ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা কৃষকরা পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষকদের সাহায্য করে থাকে রাজ্য সরকার। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনও কৃষক মারা গেলে তাঁর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্য করে থাকে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই খাতে প্রায় ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করেছে।
উল্লেখ্য, বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখে কৃষকদের স্বার্থের কথা শোনা গিয়েছে। দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কৃষকরা যখন আন্দোলন করেছিলেন তখন পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন মমতা। মোদী সরকারকে নিশানাও করেছিলেন। নিজের দলের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন কৃষকদের আন্দোলনে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত নিজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করে গিয়েছিলেন।