প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল রাজ্য সরকারের। পশ্চিমবঙ্গের মেডিকেল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা কতদূর এগিয়েছে, কী কী কাজ হয়েছে তার খতিয়ান তুলে ইমেল করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই ইমেল অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন টিএমসি সরকার রাজ্যজুড়ে মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালগুলোতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করছে।
সেখানে উল্লেখ, সরকার মোট ৭০৫১ টি সিসিটিভি স্থাপন করছে। ৮৯৩টি নতুন ডিউটি রুম তৈরি করেছে। ওয়াশরুম করা হয়েছে ৭৭৮টি। মেডিকেল কলেজগুলির উন্নতির জন্য ১১৩ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে।
স্টেটাস রিপোর্টে উল্লেখ, নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে আলোর ব্যবস্থা, অ্যালার্ম সিস্টেম রাখা হয়েছে। হাসপাতালে চালু করা হয়েছে বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল।
স্টেটাসে দাবি, এই প্রকল্পগুলির ৯০% এর বেশি শেষের দিকে। একমাত্র ব্যতিক্রম হল আরজি কর মেডিকেল কলেজ। সরকার আশা করছে ১৫ অক্টোবর ২০২৪ সালের মধ্যে সেই কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে।
রিরোর্টে দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা আরও উন্নত করতে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতিটি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে একটি স্টেকহোল্ডার কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে বিভাগীয় প্রধান, সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তার এবং নার্সিং স্টাফদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রিপোর্টে দাবি, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা থেকে বিভিন্ন অভিযোগ পরিচালনা করার জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ আগস্ট, সেমিনার হল থেকে আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। ওই ঘটনার পর থেকে রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তা নিয়ে প্রতিবাদ-আন্দোলনও শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে।