Advertisement

Sandip Ghosh: আর ডাক্তারি করতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ, নোটিশ পাঠাল মেডিক্যাল কাউন্সিল

আর চিকিৎসক নন আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যালল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল। বৃহস্পতিবার এই মর্মে রাজ‌্য মেডিক‌্যাল কাউন্সিল বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে। সেই চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

ডাক্তারের তকমা হারালেন সন্দীপ ঘোষ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 19 Sep 2024,
  • अपडेटेड 4:19 PM IST


আর চিকিৎসক নন আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যালল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল। বৃহস্পতিবার এই মর্মে রাজ‌্য মেডিক‌্যাল কাউন্সিল বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে। সেই চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত বুধবারই নিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বুধবার এ বিষয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ডা:সুদীপ্ত রায় জানান, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তার কারণ দর্শানোর জন্য তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কেটে গিয়েছে এগারো দিন। মেলেনি কোনও উত্তর। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে। এইনিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ‌্য মেডিক‌্যাল কাউন্সিল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ আগেই সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ বাতিল করেছিল। তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে তাঁরা। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছিল না এতদিনেও। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চাপের মুখে আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে বাধ্য হল  রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বুধবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে আর চিকিৎসা করতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ। নিজেকে ডাক্তার বলে দাবিও করতে পারবেন না। 

গত ২ সেপ্টেম্বর   আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারির পরেই স্বাস্থ্য দফতর  সাসপেন্ড করে আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফেও শোকজ নোটিশ দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় তিনদিন। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয় বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দেকেও। জানিয়ে দেওয়া হয় আপাতত কাউন্সিলের কোনও মিটিংয়ে তাঁরা থাকতে তো পারবেনই না, তিন দিনের মধ্যে কারণ দেখাতে না পারলে তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। সেই তিন দিন পেরিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। অবশেষে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে বুধবার বাতিল করে দেওয়া হল রেজিস্ট্রেশন। ফলত প্রাক্তন অধ্যক্ষ আর ডাক্তার রইলেন না। পারবেন না রোগী দেখতে।

Advertisement

ঠিক কী কী ধারায় সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। মূলত শোকজ নোটিসের জবাব না দেওয়াকেই আমল দেওয়া হয়েছে। শোকজ নোটিসের ১৩ দিন পরও মেডিক্যাল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের থেকে উত্তর পায়নি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের প্রসঙ্গে একবার বলেছিল, কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে ততক্ষণ তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায় না। যদিও তাঁদের এও বক্তব্য ছিল, অবাঞ্ছনীয় কোনও কাজে জড়িয়ে পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কাউন্সিলের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবার সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়।  নিজেকে ডাক্তার বলে দাবি করতে গেলে এই রেজিস্ট্রেশন নম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই বাতিল করে দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement