২০১৪ এবং ২০১৯ সালে লোকসভার অধিবেশনে বিরোধী দলনেতার পদ শূন্য ছিল। নির্ধারিত সাংসদ সংখ্যা কোনও দলের কাছেই ছিল না। এবার সরকারিভাবে বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে কংগ্রেস। কিন্তু বিরোধী দলনেতা কে হবেন? ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের বৈঠকে রাহুল গান্ধীর নামে সর্বসম্মতভাবে শিলমোহর পড়েছে। রাহুল ভেবে দেখার জন্য সময় চেয়েছেন। এবার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও একই অনুরোধ করা হল সনিয়া-তনয়কে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন,'রাহুল গান্ধীই হোন বিরোধী দলনেতা'।
এবার লোকসভা ভোটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। কিন্তু বাংলায় কংগ্রেসের ভরাডুবি। ১টি আসন পেয়েছে তারা। গতবার ছিল ২টি আসন। বহরমপুরে হেরেছেন খোদ অধীর চৌধুরী। শুক্রবার লোকসভা ভোটের ফল পর্যালোচনায় বৈঠকে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাজ্যে কংগ্রেসের এমন ভরাডুবি কেন, সে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংবাদিক বৈঠকে কোনও কথা বলেননি। তবে অধীর বলেন,'লোকসভা ভোটে সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস। ৯৯টি আসনে জিতেছি। সংসদে বিরোধী রাজনৈতিক দলের তকমা পেয়েছি। অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস'। সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে দেখতে চান প্রদেশ নেতৃত্ব। অধীর জানান,'রাহুলকে বিরোধী নেতা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছি'। সেই সঙ্গে রাজ্যের কমিটিতে রদবদলও যে হতে পারে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন অধীর।
বলে রাখি, গত ৯ জুন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছিল নয়াদিল্লিতে। ওই বৈঠকে দলের ফল নিয়ে আলোচনার পর রাহুলকে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়। সেই মর্মে প্রস্তাবও পাশ হয়। তবে রাহুল এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি ভাবনাচিন্তার জন্য সময় চেয়েছেন। কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন,'রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো এবং ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করেছিলেন। দুটি যাত্রাই ভালো সাড়া ফেলেছে। কংগ্রেসের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিদ্বেষ ও মেরুকরণের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন'।