করোনা বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela 2022) পক্ষে সরকার, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জানালো রাজ্য। এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মাস্ক পরে ও সামাজিত দূরত্ব বিধি মেনে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জলে নেমে কাউকে স্নান করার উৎসাহিত করা হচ্ছে না বলেও জানান হয় রাজ্যের তরফে। এক্ষেত্রে বরং অনলাইনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেই জানান রাজ্যের এজি। তিনি আরও জানান, গঙ্গাসাগরে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকে যাতে করোনা বিধি মেনে চলেন সেদিকে নজরদারি চালাবেন পুলিশকর্মী ও ভলেন্টিয়াররা।
এজি বলেন, ৭১% প্রাপ্তবয়স্ক প্রথম ডোজ ভ্যাক্সিন পেয়েছেন। বহুমানুষ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন যায়গায় থেকে আসতে শুরু করেছেন। ১০,০০০ পুলিশকর্মী ও ৫০০০ ভলেন্টিয়ার ডাবল ভ্যাক্সিনেটেড। একটি অস্থায়ী হাসপাতালও তৈরি করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গনের পাশেই। ৫৩০ বেডের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়ছে। ৪টে রেল স্টেশন সহ একাধিক যায়গা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করবেন। বিভিন্ন যায়গায় থার্মাল চেকিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে। র্যাপিড টেস্টও হবে। ২০০-র কাছাকাছি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। রাখা হচ্ছে গ্রিন করিডরও।
যদিও রাজ্যের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন মামলাকারীর আইনজীনী। তিনি বলেন, কোভিড বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা কার্যত অসম্ভব। তিনি পালটা প্রশ্ন তোলেন, কারা নজরদারি চালাবেন? পুলিশ-চিকিৎসক সহ যাঁরা করোনা যোদ্ধা তাঁরাই তো আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ভর্তি। কেউ কেউ আইসোলেশানে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারও করোনায় আক্রান্ত। তাহলে করোনা বাড়লে কারা চিকিৎসা করবেন?
মালাককারীর আইনজীবী আরও বলেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের নিরিখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রথম দুয়ের মধ্যে রয়েছে। আর সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই অবস্থিত গঙ্গাসাগর। সেক্ষেত্রে সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই এই মেলা আয়োজন কীভাবে করা যেতে পারে? উভয় পক্ষের সওয়াল জবাবের পর আপাতত শুনানি শেষ।