রাজ্যে বৃষ্টি থামার নাম নেই। বর্ষার ঘাটতি রয়েছে। তবে দফায় দফায় বৃষ্টিও হচ্ছে। আর সেই বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার নেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জেরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। মৌসুমী অক্ষরেখার জেরে বৃষ্টি হবে ৭ জেলায়। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওযা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা আরও উত্তরের দিকে সরছে। মালদা থেকে সরে কোচবিহারের উপর অবস্থান করছে। আবার উত্তর বাংলাদেশে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর এই মৌসুমী অক্ষরেখার জেরে বৃষ্টি হবে মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। কাল অর্থাৎ বুধবার এই বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি না থাকলেও শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে।
দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদশের ঘূর্ণাবর্তের জেরে সেই বৃষ্টি আরও বাড়বে। হালকা মাঝারি বৃষ্টি থাকবে। দেখা যাবে মেঘলা আকাশ। তবে কখনও কখনও আদ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। যেমন, মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে আজ ও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি কয়েক জেলায়।
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, কলকাতার আকাশও সকালের দিকে মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না। বরং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের আরও পূর্বাভাস, সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। কারণ, তাই বঙ্গোপসাগরে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে এবছর বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে রাজ্যে উপর দিয়ে একটি মৌসুমী অক্ষরেখা যাওয়ায় উত্তর থেকে দক্ষিণের একাধিক জেলায় আজ ভারী বৃষ্টি হবে। এদিকে ওপার বাংলার ঘূর্ণাবর্তটিও জেলায় জেলায় ভারী বর্ষণে সাহায্য করবে। আগামী কয়েকদিন উত্তরের কোথাও তাপমাত্রার বড়সড় কোনও হেরফের হবে না। এদিকে আজ দক্ষিণে স্বাভাবিকের নীচে থাকতে পারে তাপমাত্রা।