সোমবার সকালে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে চাকরি বাতিল হয়েছে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। সেই সঙ্গে বার্ষিক ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরত দিতে হবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে। এই রায়েই হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে। ঠিক কাদের সুদ-সমেত টাকা ফেরত দিতে হবে?
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ৪ সপ্তাহের মধ্যে চাকরিপ্রাপকদের বেতন ফেরত দিতে হবে। সেই সঙ্গে বছরে ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলেছে আদালত। জেলাশাসকের কাছে এই টাকা জমা করতে হবে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসক ওই টাকা হাইকোর্টে ফেরত দেবেন।
যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে অর্থাৎ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকেই কি বেতন ফেরত দিতে হবে? সবাইকে বেতন ফেরত দিতে হবে না। রায়ে তিনটি শ্রেণির উল্লেখ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে,যাঁরা ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। প্যানেলের বাইরে যাঁদের নাম রয়ে এবং প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর শূন্যপদ তৈরি করে যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ফেরত দিতে হবে বেতন। যার মোট সংখ্যা ৫৫৩৭।
হাইকোর্টের বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সাধারণ মানুষের করের টাকায় বেতন পেয়েছেন ওই চাকরিপ্রাপকরা। তাই .তাঁদের ফেরত দিতে হবে বেতন। সুদও দিতে হবে। বেতনের সব টাকা তাঁরা ফিরিয়ে দিয়েছেন কিনা তা আদালতে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।
এ দিন আদালত এও জানিয়েছে, এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। তদন্তের প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে। এসএসসির উত্তরপত্রও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ উত্তরপত্র দেখতে পান। তবে বাতিলের তালিকায় নেই সোমা দাস। মানবিক কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে চাকরি ছাড়তে হবে না।