মালদার বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশাসনকে দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মালদার ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি। এর আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বীবেদীর কাছেও জবাব তলব করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মালদার সুজাপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন রাজ্যপাল। তিনি টুইটে লিখেছেন, এখন স্বরাষ্ট্র দফতর রায় দিতে পারে- পাঁচ জন মারা গিয়েছেন, অনেকে আহত, একটা বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এগুলি সব হয়েছে কয়েকজনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে। কেন পেশাদার ভঙ্গিতে রাজ্য পুলিশ তদন্ত করছে না! ওই ঘটনায় কত জন মারা গিয়েছেন, তা মুখ্যমন্ত্রী কেন জানাচ্ছেন না।
রাজ্যপালের দাবি, এর আগে ধর্ষণের তথ্য নিয়ে ডিভিশনাল কমিশনার, জেলাশাসকেরা 'কোনও সরকারি রিপোর্ট, তথ্য বা পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি নয়। ভিত্তিহীন অভিযোগ, ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে, প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে মিল নেই,' বলে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে।
তিনি আরও বলেছেন, আগে য়া জানতে চেয়েছিলাম, তার জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। বাছবিচারহীন এবং অচল কাউকে এড়ানো যায় না। রাজ্যের আইনশৃঙ্ঘলা পরিস্থিতি, তদন্তের গতিপ্রকৃতি উদ্বেগজনক। নিরপেক্ষতার দরকার রয়েছে।
মালদার সুজাপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশের বক্তব্য, প্লাস্টিক কারখানায় মেশিনে ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।
এদিন ওই প্লাস্টিক কারখানায় থেকে বিকট শব্দ পাওয়া যায়। তার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছে, যন্ত্র কোনও ত্রুটির জেরে এই ঘটনা।
এর আগেও রাজ্যপাল বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। বিভিন্ন ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।