তমাল ভট্টচার্যের বিরুদ্ধে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পিটিশন দাখিল করলেন এক ব্যক্তি। রাজ চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, সম্ভবত তালিবানরা তমাল ভট্টচার্যকে এখানে পাঠিয়েছে। তমালের আরেকটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে। সেখানে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে ছবি তুলছেন তিনি। আমার অনুরোধ তমালের উপর যেন নজর রাখা হয়। প্রসঙ্গত, সদ্য আফগানিস্তান থেকে এদেশে ফেরেন তমাল ভট্টচার্য। কিন্তু এদেশে ফিরে তিনি জানান, তালিবানরা খুব ভালো ব্যবহার করেছে তাঁর সঙ্গে। এমনকি তাঁর সঙ্গে ক্রিকেটও খেলেছে। তমালের এই মন্তব্যই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়। যে জঙ্গি গোষ্ঠীর ভয়ে আফগানিস্তানের মানুষ পালাতে চাইছে, সেখানে তমালের এমন দাবিতে হতবাক হয়ে যান সকলে।
সম্প্রতি দেশে ফেরে তমাল
আফগানিস্তানে ফের তালিবানি রাজ শুরু হওয়ার পরেই দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন বহু মানুষ। কাবুল বিমানবন্দরে কার্যত উপচে পড়ছে ভিড়। এমনকি বিমানের চাকাতে বেঁধেও আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করেছেন অনেকে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুলল তালিবান। দোহায় স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের সময় তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেন, আমাদের ভয়ে কেউ পালাচ্ছে না। আসলে এদের লক্ষ্য পশ্চিম দেশগুলিতে বসতি স্থাপন করা। সুহেল শাহীন জানান, আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে। এখন পশ্চিম দেশগুলিতে ভালো জীবনযাপনের জন্য অনেকেই পাড়ি দিতে চান। তাই এখন ভয়ের অজুহাতকে সামনে রেখে সবাই পালানোর চেষ্টা করছেন। আফগানিস্তান একটি দরিদ্র শেষ। উন্নতমানের জীবনযাপনের জন্য মানুষ পশ্চিমের দেশগুলিতে পাড়ি দিচ্ছেন। এখানে আমাদের ভয় পেয়ে কেউ পালাচ্ছে না।
ভারতীয়দের ফেরানো হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে
যদিও আফগানিস্তানে তালিবান শাসন আসার পরেই বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দরে বিভিন্ন দেশের সেনারা মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকেই ফেরানোর পালা চলছে। কিন্তু বিমানবন্দরে প্রচুর পরিমাণে ভিড় করেছে স্থানীয় আফগান নাগরিকরা। তাঁরা যে কোনও প্রকারে দেশ ছাড়তে মরিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিও বেশ কিছু আফগান নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরাচ্ছে। মূলত আফগান সরকার, ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা কাজ করতেন, সেই সব আফগানদেরই দ্রুত দেশে ফেরানোর বিষয়ে তোড়জোড় করছে ন্যাটো দেশগুলি।