21 জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসকে নিয়ে আবেগ রয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল 21 জুলাইয়ের হোর্ডিং, ব্যানারে তাঁদের কোনও মুখই থাকবে না, থাকবে মমতা ও অভিষেকের ছবি, মানে তৃণমূলের প্রথম দুই শীর্ষ নেতা। কিন্তু শদীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে কিনা তারাই এবার ব্রাত্য? এই প্রশ্নই তুলছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের পরে এবারের 21 জুলাইয়ে বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে তৃণমূল। কিন্তু এবার আরও সতর্ক তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে কড়া নির্দেশ, শহিদ দিবসের কর্মসূচির জন্য হোর্ডিং, ব্যানারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। সেই নির্দেশ মেনেই শহরের বুকে যে হোর্ডিং ও ব্যানার দেওয়া হয়েছে তাতে মমতা ও অভিষেকের ছবি ছাড়া আর কারোর ছবি নেই। আসলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং বিভিন্ন কানাঘুষো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও পৌঁছেছে তাই এবার একেবারে কড়া নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কালীঘাট থেকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি দ্বন্দ্ব নিয়ে বার বার একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের পর সেই যাবতীয় বিতর্ক ঝেড়ে ফেলতে এবার কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। এটাই তাঁর তার প্রথম পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, জেলা, ব্লক বা পঞ্চায়েত স্তরে প্রচারের জন্য দেওয়াল লিখন, ব্যানার এবং হোর্ডিংয়ে মমতা ও অভিষেক ছাড়া আর কারও ছবি না ব্যবহার করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাজ্য কমিটির পাঠানো সিডি অনুযায়ী দেওয়াল লিখতে হবে এবং হোর্ডিং, ব্যানার তৈরি করাতে হবে। একই সঙ্গে সব প্রচারের ক্ষেত্রে নিজস্ব এলাকার সংগঠনের নাম লিখতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সংক্রান্ত যে প্রচার কর্মসূচি করা হয়েছে, তা জেলা সভাপতিকে হোয়াটস অ্যাপে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনও কর্মসূচির সঙ্গে দলের বিধায়ক ও শাখা সংগঠনের সদস্যদের শামিল করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার 21 জুলাই মমতা তার দল নিয়ে কী বার্তা দিতে চায় সেটাই দেখার।