কুন্তলের সঙ্গে রগরগে সম্পর্কটা সায়নী ঘোষের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে, সেটা তো আপনারা জানেন। WHATSAPP-এ টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে কথা হবে, আর সেটা ED দেখে ডেকে পাঠাবে না, তা তো হয় না। মঙ্গলবারই নোটিশ পেয়ে যান সায়নী। আর এর মধ্যে আবার বুধবার ছিল বেলেঘাটা 33-র পল্লীর খুঁটি পুজো। সেখানে ম্যাডাম সায়নীরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোথাও স্বস্তিকা মুখার্জিরা থাকলেও সায়নী ঘোষের দেখা নেই। অনুষ্ঠানের ব্যানারেও ঘটা করে সায়নীর নামও ছিল, সঙ্গে লেখা রাজ্য যুব সম্পাদক। কিন্তু তাঁর পাত্তাই নেই। উদ্যোক্তাদের তো আবার কিছু একটা বলে মান রক্ষা করতে হবে। তাঁরা তড়িঘড়ি ব্যানার থেকে সায়নী ঘোষের নাম সরিয়ে দেন। এমনটা করে আবার তাঁদের তো সাফাইও দিতে হবে। তাই উদ্যোক্তারা জানান, সায়নী ঘোষের পদ ভুল প্রিন্ট হয়েছে, তাই ব্যানার থেকে নাম সরানো হয়েছে। আসলে বেলেঘাটার খুঁটিপুজোর বেশ কয়েকবছরের পাকাপাকি অতিথি ছিলেন সায়নী ঘোষ। তাঁর অনুপস্থিতি প্রশ্ন তো তুলছেই। তবে সাধারণ মানুষতো দেখছেন সবটাই, তাই এখন শুক্রবার জেরার মুখে সায়নী ম্যাডাম কী জানান, সেটাই সবার জানার ইচ্ছা। তদন্তকারী অফিসার বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলকে জেরা করেই সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছেন। কড়া কড়া প্রশ্নও তাঁরা তৈরি রেখেছেন। এখন দেখার সায়নী ছয় মারেন, নাকি ক্লিন বোল্ড হয়ে যান।