পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রচার সেরে চপারে ফেরার পথে চোট পান মমতা। কিন্তু কী এমন হল যে তাঁর চপারকে ফের ইমারজেন্সি ল্য়ান্ডিং করাতে হল। এই আপনার জানতে ইচ্ছা করছে নিশ্চয় যে, কেন নামাতে হল চপারকে? এবার আশি মঙ্গলবারের আসল ঘটনায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে উঠেছিলেন ক্রান্তি থেকে। পাইলট যা ভেবেছিলেন আবহাওয়া তার থেকেও খারাপ হয়। আকাশে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিন দিক কালো করে আসে। আবহাওয়া দ্রুত খাৈরাপ হতে থাকে। নীচে বৈকুন্ঠপুরের ঘন জঙ্গল। জঙ্গলে তো আর নামা যাবে না! তাই পাইলট চাইলেও কপ্টার নামানোর কোনও উপায় ছিল না। অগত্যা আকাশের যে দিক পরিষ্কার ছিল সে দিকেই কপ্টারের মুখ ঘোরান পাইলট। আকাশের চক্কর কাটতে তাকে কপ্টার। কিন্তু কোথায় এই কপ্টার নামাবেন তিনি প্রথমে বুঝে উঠতেই কিছু সময় কেটে যায়। এরপরেই বাগডোগরার দিক থেকে তিনি উড়তে থাকেন শিলিগুড়ির দিকে। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়ির শালুগাড়ার কাছে সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। পাইলট ভেবেছিলেন 13 মিনিটের পথ পেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিরাপদে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু কেন কোনও রকম সতর্কতা ছাড়াই তিনি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। চোট পান মমতা। তবে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। এরপরে সেবক এয়ারবেস থেকে গাড়িতে বাগডোগরা, সেখান থেকে বিমানে হয়ে কলকাতা পৌঁছন মমতা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পা এবং কোমরে চোট লেগেছে।