মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে, একবার তিরুপতি বালাজির মন্দিরে গেলে কেমন হয়। কিন্তু চাইলে তো আর হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর বা কলকাতা থেকে হুট করে চলে যাওয়া যায় না অন্ধ্রপ্রদেশের। মানে আপনি ভাবলেন আর বাসে চড়ে পৌঁছে গেলেন তিরুপতি মন্দিরে তেমন তো আর বাস্তবে হয় না। অনেক ধরনের প্ল্যানিং দরকার। কিন্তু যদি বাংলাতেই বালাজির দর্শন পেয়ে যান তাহলে প্রতিদিনই আপনি একবার দর্শন করে চলে যেতেই পারেন গন্তব্যে। কিন্তু এই ভাবনা ভেবে ভেবেই অনেকেই বাড়িতে বসেই মনে মনেই দুধের সাধ ঘোলে মিটিয়ে ফেলেন। কিন্তু এবার বাংলাতেও তিরুপতির মন্দির তৈরি হবে! এবার ভগবান দর্শনে আপনাকে অন্ধ্রপ্রদেশ যেতে হবে না। আশ্চর্য লাগছে? এবার শুধু অন্ধ্রপ্রদেশ নয়, দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে গড়ে উঠবে এই মন্দির! জানা গিয়েছে, তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানমস, বিশ্বের সবথেকে ধনী এই মন্দির ট্রাস্ট সমস্ত রাজ্যে ভগবান বালাজির একটি করে মূর্তি তৈরি করতে চাইছেন। 1933 সালে তৈরি হয়েছিল TTD। এরপর দেশজুড়ে 58টি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরগুলি বেশিরভাগটাই অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাডুতে রয়েছে। 1969 সালে উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেষে তৈরি হয়েছিল আরও একটি বালাজি মন্দির। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট গুজরাটের গান্ধীনগর, ছত্তিশগড়ের রায়পুর এবং বিহারে তিনটি মন্দির তৈরির কথাও ভাবছে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ছোট মন্দির নির্মাণ করতে চলেছে TTD। জম্মুতে প্রায় 25 কোটি টাকা খরচ করে সিধরা এলাকায় তিরুপতি বালাজি মন্দির তৈরি হয়েছে। এবার ভারতের বহু রাজ্যে এই তিরুপতি বালাজির মন্দির তৈরি করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার আর আপনাকে তিরুপতি দর্শনের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ যেতে হবে না। তবে এই রাজ্যে এই মন্দির কবে তৈরি হবে সেটাই দেখার।