ঢেঁড়স অনেকেরই অপছন্দের সবজি। হড়হড়ে, নরম। তাই অনেকেই ঢ্যাঁড়স দেখলে মুখ ব্যাজার করেন। কিন্তু ঢেঁড়সের অনেক গুণ রয়েছে। চোখের সমস্যার ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত উপকারী। ঢ্যাঁড়সের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। তাছাড়া ঢ্যাঁড়সে ফাইবারও ভরপুর। তাই ওজন কমাতে চাইলে কিংবা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ঢ্যাঁড়স খাওয়া উচিত্।
কিন্তু স্বাদের কারণে বহু মানুষ ঢ্যাঁড়স এড়িয়ে চলেন। তবে সত্যি বলতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঢ্যাঁড়স ঠিক পদ্ধতিতে রান্না করা হয় না। আর সেই কারণেই ঢ্যাঁড়স খেতে ভাল লাগে না। ঠিকভাবে রান্না করলে এই সাধারণ ঢেঁড়সই খেতে সুস্বাদু হতে পারে। এই প্রতিবেদনে ঢ্যাঁড়স রান্নারই কিছু টিপস পাবেন। এভাবে রান্না করলে সাধারণ ঢ্যাঁড়সও সবাই চেটেপুটে খাবেন।
ঢ্যাঁড়সের হড়হড়ে ভাব কীভাবে কাটাবেন?
ঢ্যাঁড়সের যে পদই রান্না করুন না কেন, তাতে যদি সামান্য পরিমাণে লেবুর রস বা ভিনিগার দিয়ে দেন, তাতেই ম্যাজিকের মতো কাজ হবে। ঢেঁড়স বেশি হড়হড়ে থাকবে না। অনেকে ঢ্যাঁড়স-ভাতে খান। সেক্ষেত্রেও আলাদাভাবে ঢ্যাঁড়স সেদ্ধ করার সময়ে তাতে লেবুর রস বা ভিনিগার দিতে পারেন। তবে খুব বেশি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ঢেঁড়সের কিছু পদ:
মশালা ভিন্ডি: প্রথমে ঢ্যাঁড়স লম্বালম্বি করে মাঝখান দিয়ে চিড়ে নিন। সেটি নুন মাখিয়ে ভেজে রাখুন। মিহি করে পেঁয়াজ কুঁচিয়ে নিন। এরপর সামান্য রসুন ও আদা বেটে রাখুন। কড়াতে আদা-রসুন-পেঁয়াজ ভাল করে ভেজে নিন। এতে টমেটো পিউরি দিন। টমেটোর কাঁচা ভাব দূর হওয়া পর্যন্ত ভাল করে ভাজুন। এবার তাতে কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, জিরে গুঁড়ো দিন। মশলার কাঁচা গন্ধ কেটে গেলে তাতে ভেজে রাখা ঢ্যাঁড়স দিন। স্বাদ মতো নুন, মিষ্টি দিন। এরপর অল্প ভিনিগার বা লেবুর রস দিন। সব শেষে একটু কসৌরি মেথি দিতে পারেন। রুটি বা পরোটার সঙ্গে দারুণ লাগবে।
ঢ্যাঁড়স: ঢ্যাঁড়স লম্বালম্বি করে চিড়ে নিন। তবে পুরোটা চিড়বেন না। অর্ধেক পর্যন্ত চিড়বেন। এরপর তাতে নুন মাখিয়ে রাখুন। এরপর বাটিতে বেসন, চালের গুঁড়ো, নুন ও অল্প লঙ্কাগুঁড়ো ফেটিয়ে নিন। অনেকটা বেগুনির মতোই। এবার তাতে ঢ্যাঁড়স ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিন। গরম ডাল-ভাতের সঙ্গে জমে যাবে।
ঢ্যাঁড়স সেদ্ধ: ভাবছেন এটায় শেখার কী আছে! আসলে এটিরও সঠিক পদ্ধতি আছে। প্রথমে জল ফুটতে দিন। ঢ্যাঁড়স দিন। ঠিক ৬-৭ মিনিট ফোটান। এরপর তাতে অল্প ভিনিগার দিন। ফ্লেম অফ করে ঢ্যাঁড়স তুলে নিন। এরপর সেই গরম ঢ্যাঁড়স ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। এভাবে করলে ঢ্যাঁড়স নেতিয়ে যাবে না।