Fried Rice Recipe: বাঙালি ফ্রায়েড রাইস আর চাইনিজ ফ্রায়েড রাইস অনেকটাই আলাদা। স্বাদের দিক থেকে তো বটেই, দেখতেও যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। আর দু'টির সঙ্গে কম্বিনেশন হিসাবে যেগুলি খাওয়া যায়, সেগুলিও আলাদা। তবে অনেকেই এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য জানেন না। আর সেই কারণে মেনু সাজানোর সময়ে গণ্ডগোল হয়ে যায়। আজকের প্রতিবেদনে দুই ধরনের ফ্রাইড রাইসের একেবারে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে।
চাইনিজ ফ্রায়েড রাইস
চিনা ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন অনেকের পছন্দের কম্বিনেশন। চিনা ফ্রায়েড রাইসে সাধারণত ছোট দানার চাল ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত বেশি আঁচে, গরম কড়াতে রান্না করা হয়। এতে পেঁয়াজ, গাজর, বিনস, চিকেন কুচি, ডিম ভাজা দেওয়া যেতে পারে। চাইনিজ ফ্রায়েড রাইসে চিনির বালাই সেভাবে নেই বললেই চলে।
চাইনিজ ফ্রায়েড রাইস বানানোর পদ্ধতি: ভাত একটু শক্ত থাকতে হবে। আগের দিনের ফ্রিজে রাাখা ভাত হলে সবচেয়ে ভাল। যে যে সবজি দেবেন, তা আগে থেকে কুঁচিয়ে রেডি রাখুন। কোনও সবজি ছাড়াও করতে পারেন। তেল গরম করে প্রথমে চিকেন, ডিম ইত্যাদি ভেজে রাখুন।
তেলে পেঁয়াজ ভেজে তাতে সবজি দিন। সেটি কিছুটা ভাজা হয়ে এলে ভাত দিয়ে দিন। নুন, গোলমরিচ, আজিনামোটো(অপশনাল), সয়া সস দিন। ভাল করে হাই ফ্লেমে ভাত ভেজে নিন। সব শেষে আঁচ বন্ধ করে মিহি করে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ পাতা দিয়ে দিন। চাইলে ফ্রায়েড রাইসে চিংড়িও যোগ করতে পারেন।
কী দিয়ে ভাল লাগে?
চাইনিজ ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে অন্য চাইনিজ পদ যেমন চিলি চিকেন, চিলি ফিশ ইত্যাদি সবচেয়ে ভাল লাগে।
বাঙালি ফ্রায়েড রাইস
এই ফ্রায়েড রাইস সাধারণ লম্বা দানার বাসমতি চাল দিয়ে করতে হয়। এক্ষেত্রে ডিম সাধারণত দেওয়া হয় না। সবজিও কিছুটা বড় করে কাটতে হয়। তাছাড়া এই ফ্রায়েড রাইসে শুরুতে তেল গরম করে সামান্য গরম মশলা দেওয়া হয়। পেঁয়াজ ও অন্য সবজি ভেজে নিয়ে তাতে ভাত দিতে হয়। এই ফ্রায়েড রাইসে সয়া সস ও গোলমরিচ দেওয়া হয় না। নুন ও সামান্য চিনি দিতে হয়। তাছাড়া বাঙালি ফ্রায়েড রাইসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কাজু-কিসমিশের সংযোজন। এই ফ্রায়েড রাইসে পেঁয়াজ পাতার কোনও ব্যাপার নেই।
কী দিয়ে খাবেন?
এর সঙ্গে চাইনিজ পদ ঠিক খাপ খায় না। অর্থাত্ চিলি চিকেনের সঙ্গে এই ধরনের ফ্রায়েড রাইসের কম্বিনেশন করলে ভুল করবেন। বরং এর সঙ্গে চিকেন কষা, চিকেন চাপ, দই কাতলা, মাছের কালিয়া বেশি জমবে। বাঙালি মাছ-মাংসের পদ দিয়েই এটি ভাল লাগে। ডিম কষা দিয়েও খান অনেকে।
তাহলে চাইনিজ ও বাঙালি ফ্রায়েড রাইসের পার্থক্য বুঝলেন তো? এরপর থেকে ভুরিভোজ প্ল্যান করার সময়ে এটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।