এখনকার যুগে প্রায় সবারই ভুঁড়ি। ভুঁড়ির সঙ্গেই কিন্তু অনেক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি জড়িয়ে। তাই সময় থাকতেই এটি কমিয়ে ফেলুন। নজর দিন স্বাস্থ্যে।
ভুঁড়ি কমানোর আগে একটি বিষয় স্পষ্ট করে নেওয়া যাক। শুধুমাত্র পেটের ব্যায়াম করে ভুঁড়ি কমানো যায় না।
কমলে সারা শরীর থেকেই মেদের পরিমাণ কমবে। মেদ কমানোর কোনও স্পট ট্রিটমেন্ট হয় না। পেটের ব্যায়াম করলে পেশি শক্তিশালী হবে। অ্যাবস তৈরি হবে। তবে তা দেখা যাবে না। কেন? কারণ ভুঁড়ির মেদের তলায় তা ঢাকা পড়ে থাকবে।
খাওয়াদাওয়াই ৮০%
মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য যা খাচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি সারাদিনে খরচ করতে হবে। একে 'ক্যালোরি ডেফিসিট বলা হয়'। এমন পরিস্থিতিতে শরীর জমে থাকা মেদ গলিয়ে শক্তি জোগাড় করে।
অনেকে দ্রুত ওজন কমাতে হঠাত্ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের পক্ষেও চরম ক্ষতিকর। দীর্ঘ মেয়াদে না খেয়ে বেশিদিন চালানোও যাবে না। বিরক্ত হয়ে বেশি খেয়ে ফেলবেন। তাই এমন ডায়েট মেনে চলুন, যা মধ্যবিত্ত বাঙালির পক্ষে দীর্ঘদিন বজায় রাখা সম্ভব।
খাওয়ার পরিমাণ কমান। কার্বোহাইড্রেট, ভাজাভুজি, মিষ্টি কম খান। শাকসবজি, ফল, প্রোটিন খান বেশি করে। বাড়িতে যা রান্না হচ্ছে, সেগুলিই খান। তবে তেল কম ব্যবহার করুন।
ব্যায়াম
সকালে খালি পেটে কার্ডিয়ো করতে পারলে খুবই ভাল। আপনার ফিটনেসের স্তর অনুযায়ী যতটা দ্রুত পারবেন দৌড়, হাঁটা, সাইক্লিং করুন।
জিমে যে যেতেই হবে, এমন কোনও মানে নেই। তবে জিমে ওয়েট ট্রেনিং করলে ওজন কমানো, সুন্দর শরীরের গঠন, শক্তি বৃদ্ধি করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।
তবে বাড়িতেও বডি ওয়েট এক্সারসাইজ করতে পারেন। পুশআপ, পুলআপ, স্কোয়াট করতে পারেন। কিনতে পারেন রেসিসট্যান্স ব্যান্ডও। তবে ব্যায়ামের আগে অবশ্যই ইউটিউব থেকে সঠিক ফর্ম শিখে নিতে ভুলবেন না।