ছুটির দিন কিংবা উইকেন্ডে ভাল-মন্দ খাবার পাতে না থাকলে ঠিক জমে না। সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে অনেকেই কোনওরকমে খেয়ে কাজে বেরোন। কিন্তু ছুটির দিন বা উইকেন্ডের খানাপিনা সকলেই চান একটু স্পেশাল হোক। পছন্দের খাবার এই দিনগুলিতে মুখে উঠলে মন ফুরফুরে হয়ে যায়। যাঁরা নন-ভেজ খেতে ভালবাসেন, তাঁরা চিকেন বা মাটনের দিকে ঝোঁকেন। তবে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা চিকেন খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না। মাটন তাঁদের বড্ড প্রিয়।
মাটন পাতে পড়লে আর দেখতে হবে না। গরম ভাত হোক কিংবা রুটি বা পরোটা, মাটন সঙ্গে থাকলে জাস্ট জমে যাবে। মাটনের নানা পদ রান্না করা হয়। সে বিরিয়ানি হোক কিংবা কষা মাংস, আবার কমলালেবু দিয়ে মাটন, এমন অনেক পদই মুখে লেগে থাকে। মাটনের প্রতিটি পদই জিভে জল এনে দেয়। এর মধ্যে অন্যতম পদটি হল আচারি মাটন। এই পদটি চেখে দেখলে বার বার খেতে চাইবেন। আর হ্যাঁ, এ জন্য রেস্তরাঁয় যেতে হবে না। বাড়তে সহজেই বানাতে পারবেন আচারি মাটন। সহজ রেসিপি জেনে নিন...
উপকরণ:
মাটন কিমা, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, টমেটো, চিজ, রসুন বাটা, জিরে গুঁড়ো, আমচুর পাউডার, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জায়ফল, জায়ত্রী গুঁড়ো, গরম মশলা, তেজপাতা, ধনেপাতা, ঘি, তেল, জল, বাটার, কাজুবাদাম বাটা।
পদ্ধতি:
প্রথমে একটি পাত্রে মাটনের কিমায় লঙ্কা কুচি, তেল, নুন, হলুদ, পেঁয়াজ মাখিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণে আমচুর পাউডার দিন। মিশ্রণে চিজ দিয়ে কোফতার আকার দিন। এরপর কড়াইয়ে তেল এবং ঘি দিতে হবে। তাতে কোফতাগুলি দিয়ে লাল লা করে ভেজে নিন। এ বার ওই তেলে রসুন, পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিন। পেঁয়াজ লাল হয়ে গেলে তাতে কাজুবাদাম বাটা দিতে হবে। এরপর এতে টমেটো কুচি, নুন, হলুদ, গুঁড়ো মশলা, আমচুর পাউডার মেশান। মশলা ভাল করে কষে এলে অল্প জল দিন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ঝোল ফুটছে। ব্যস, এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে আচারি মাটন। ভাত বা পরোটা কিংবা রুটির সঙ্গে এই পদ জাস্ট জমে যাবে।