আজকের ব্যস্ত সময়ে ভারী খাবার খাওয়ার সময়ই পান না অনেকে। তাই সময় বাঁচাতে চটজলদি খাবারের উপর ভরসা রাখেন কেউ কেউ। তবে রোজ এমন কোনও খাবার খাওয়া উচিত, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। ভাল খাদ্যাভাস না হলে শরীর বিগড়োবেই। আবার, শরীর চাঙ্গা রাখতে সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
অনেকেই রোজ পাতে ডিম রাখেন। ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। তাই রোজ ডিম খেলে শরীর তরতাজা থাকবে। তবে সেদ্ধ ডিম খাওয়াই বেশি উপকারী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ডিম-ভাত বেশ সুসল্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। তবে বৃষ্টির দিনে ভাত করার ঝুটঝামেলা অনেকেই রাখেন না। তাই চালে-ডালে খিচুড়ি বানানো সহজ। আর খেতেও দারুন। খিচুরি শরীরের জন্য উপকারীও বটে। নানা ধরনের খিচুড়ি বানানো যায়। শীতে মরশুমি সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে বেশ লাগে। তবে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা পাতে মাছ, মাংস বা ডিম না থাকলে খাবার খেতে পছন্দ করেন না। তাঁদের জন্য ডিমের খিচুড়ি লোভনীয় পদ হতে পারে।
ডিম আর খিচুড়ির মিশেল পুষ্টিকর শরীরের জন্য। আর এই পদ বানানোও খুব সহজ। ঘরে সহজেই বানাতে পারবেন ডিমের খিচুড়ি। জেনে নিন রেসিপি...
উপকরণ:
মুগডাল, ডিম, সরষের তেল, ঘি, জিরে, শুকনো লঙ্কা, পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, রসুন, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, নারকেল কোরা, নুন, চিনি, টমেটো।
পদ্ধতি:
প্রথমে মুগডাল ভেজে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল এবং পরিমাণ মতো ঘি দিয়ে গরম করুন। ফোড়ন হিসাবে দিন গোটা জিরে, পাঁচফোড়ন, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, দারুচিনি এবং এলাচ। এ বার এতে থেঁতো করে রাখা রসুন, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে ৪-৫টি ডিম ফেটিয়ে নিন। এতে স্বাদ মতো নুন দিতে হবে। কড়াইয়ে পেঁয়াজ ভাজা হলে নারকেল কোরা মেশান। এ বার কড়াইয়ে মশলার মধ্যে ফেটানো ডিম দিয়ে দিন। ডিম কষতে শুরু করতে তাতে মুগ ডাল দিয়ে দিন। এ বার এতে ঘি দিয়ে সবটা ভাল করে অল্প আঁচে ভাজতে থাকুন। এতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এ বার এতে স্বাদমতো নুন-চিনি মেশান। তারপরে তাতে টমেটো কুচি, ঘি ছড়িয়ে আরও ১৫ মিনিট ঢাকা রাখুন। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে ডিমের খিচুড়ি।