ডিম খেতে কে না ভালবাসেন বলুন! প্রাত:রাশে অনেকেই ডিম রাখেন। সে অমলেট হোক কিংবা সেদ্ধ ডিম, অথবা ডিমের পোচ। ডিম প্রায় রোজদিনই অনেকে খান। আর এতে পুষ্টিও রয়েছে প্রচুর। তবে অমলেট, ডিমের পোচ এবং সেদ্ধ ডিমের মধ্যে কোনটি খেলে শরীর সুস্থ থাকবে?
ব্রেকফাস্টে পাউরুটির সঙ্গে ডিম আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আবার অনেকে ভাতের সঙ্গে ডিমভাজা, ডিমের ঝোল খেতে পছন্দ করেন। অনেকে রয়েছেন, যাঁরা অমলেট বা ডিমের পোচ খেতে খুব পছন্দ করেন। তাই রোজই পাতে থাকে হয় অমলেট নয়তো ডিমের পোচ। আবার অনেকে খান সেদ্ধ ডিম। কিন্তু কোনটি খেলে উপকার পাওয়া যাবে? এই নিয়ে অনেকেই ধন্দে পড়েন।
অমলেট না সেদ্ধ ডিম?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমে প্রায় ৭৩ ক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম। তাই শরীরে পুষ্টি জোগায় ডিম। তবে রোজ অমলেট খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে তেল রয়েছে। ফলে যাঁদের কোলেস্টেরল বেশি রয়েছে, তাঁদের অমলেট খাওয়া ঠিক নয়। সেদিক থেকে দেখলে সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। সেদ্ধ ডিম খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। যে কোনও সুস্থ ব্যক্তি রোজ ১টি করে ডিম খেতে পারেন। তবে যাঁদের ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সপ্তাহে ২-৩ দিন ১টি করে ডিম খেতে পারেন। ডিমের শুধু সাদা অংশ খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
অনেকে আবার ডিমের পোচ পছন্দ করেন। তবে ডিমের পোচ খাওয়া মোটেই ভাল নয়। ডিমে ব্যাকটেরিয়া থাকে। ফলে ডিমের পোচ খেলে সেই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অমলেট, সেদ্ধ ডিম এবং ডিমের পোচের মধ্যে সেদ্ধ ডিমই সবেচেয় ভাল।
তবে যাঁদের ডিমে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁরা ডিম খাবেন না। কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদেরও ডিম খাওয়া ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।