দুপুরে অনেকেই নাক টেনে ঘুমোন। তাদের দুপুরে ঘুম ছাড়া প্রায় চলেই না। তারা দুপুরে শুয়েই খুশি। যদিও এই কাজটা শরীরের জন্য খুব একটা ভালো নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব দুপুরে ঘুমনোর ক্ষতি সম্পর্কে জেনে নিন। ব্যাস, তারপর না হয় নিজেই বিচার করবেন যে দুপুরে ঘুমাবেন কি না।
দুপুরে ঘুমালে সবথেকে বড় সমস্যা যেটা হবে, সেটা হল রাতে ঘুম না আসা। এমনকী ঘুমের চক্র বদলে যেতে পারে। তাই দুপুরে ঘুম নয়। রাতেই ঘুমান।
অনেক ক্ষেত্রে দুপুরে ঘুমালে শরীরে ল্যাথার্জি চলে আসে। আর সেটাও সমস্যার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই দুপুরে ঘুম থেকে ওঠার পর কাজ করার ইচ্ছে করে না।
দুপুরে ঘুমানোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই বিপাকের হার কমে যেতে পারে। যার ফলে শরীরের হাল যেতে পারে বিগড়ে। ওজন বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
দুপুরে ঘুমোলে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা। যার ফলে ঘুম থেকে উঠে মাথা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে খেতে পারে। তাই যাদের মাইগ্রেন রয়েছে, তারা কোনওভাবেই দুপুরে ঘুমাবেন না।
রোজ দুপুরে ঘুমোলে কোনও দিন ওই সময় কাজ থাকলে করতে পারবেন না। কাজে ভুল হতে পারে। সেই সময় ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই সাবধান হন।
দুপুরে যতটা সম্ভব না ঘুমনো যায়, ততই ভাল। এই নিয়মটা মেনে চললেই শরীর ভাল থাকবে। চেষ্টা করুন ওই সময় বিছানায় শরীর না রাখার। ব্যাস, তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।
তবে কেউ চাইলে দুপুরে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নিতে পারেন। তাতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা। উল্টে এনার্জি পাবেন। কাজ হবে দ্রুত।