টেস্টোস্টেরন পুরুষদের অন্যতম প্রধান হরমোন। এটি পেশীর বিকাশ, হাড়ের শক্তি এবং সামগ্রিক শক্তি সহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স এবং জেনেটিক্সের কারণে বিভিন্ন ব্যক্তির টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রভাবিত হয়। তবে ডায়েটে নির্দিষ্ট খাবার অন্তর্ভুক্ত করলেও প্রাকৃতিক উপায়েই এই হরমোন বাড়িয়ে তুলতে পারেন। আজকের প্রতিবেদনে সেই হদিশই পাবেন। টেস্টোস্টেরন-বর্ধক কিছু খাবারের বিষয়ে আসুন জেনে নেওয়া যাক। খুব সহজেই এটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
ডিম:
ডিম ভিটামিন ডি এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ। টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের জন্য এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিশেষত, ডিমের কুসুমে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি টেস্টোস্টেরন হরমোনের সংশ্লেষণে সহায়তা করে।
চর্বিহীন প্রোটিন:
ডায়েটে চিকেন, টার্কি এবং মাছের মতো চর্বিহীন প্রোটিন রাখুন। এটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে। এটি টেস্টোস্টেরন উত্পাদনে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি এগুলিতে কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং বীজ:
বাদাম, বিশেষ করে আমন্ড এবং আখরোট, সূর্যমুখী ও ফ্ল্যাক্সসিডের মতো বীজে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এগুলি উচ্চ টেস্টোস্টেরন প্রদানে সহায়তা করে।
সবুজ শাক:
পালং-এর মতো সবুজ শাক ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি এমন একটি খনিজ যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে রোজের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই কোনও সবুজ শাক রাখুন।
ক্রুসীফেরাস সবজি:
ব্রকলি, ফুলকপির মতো 'ফুল' হয়, এমন সবজিকে ক্রুসীফেরাস সবজি বলে। এই ধরনের সবজিতে এমন যৌগ থাকে যা শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলি ইস্ট্রোজেন হ্রাস করে, পরোক্ষভাবে উচ্চ টেস্টোস্টেরন প্রদানে সাহায্য করে।
রসুন:
রসুনে অ্যালিসিন থাকে। এটি কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কর্টিসল একটি স্ট্রেস হরমোন। এটি কম থাকলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নিজে থেকেই বেড়ে যায়।
বেদানা:
বেদানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির মধ্যে একটি সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, উপরের তালিকার খাবারগুলি প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করে বটে। তবে তার মানে এই না যে কয়েকদিন এগুলি খেলেই সঙ্গে সঙ্গে টেস্টোস্টেরন বেড়ে যাবে। অন্তত ৩-৪ মাস মেনে চললে তবে ফল পাবেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অপ্টিমাইজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।