Weight Loss Foods: ওজন কমানোর জন্য় অনেকে খাওয়াদাওয়াই ছেড়ে দেন। এতে কিন্তু উল্টো প্রভাব পড়তে পারে। ওজন কমানোর জন্য় খাওয়া ছাড়লে চলবে না। বরং খাদ্যাভাসে কিছু বদল আনতে হবে।
ফ্যাট কমানোর চেষ্টা করলে, পাতে নির্দিষ্ট কিছু খাবার রাখতে পারেন। এগুলি সরাসরি ওজন কমাবে না। তবে সেই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবে।
আজতক বাংলার এই প্রতিবেদনে এমনই ৭ ধরণের খাবারের বিষয়ে জানতে পারবেন। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে এই ৭ ধরণের খাবার অবশ্যই পাতে রাখুন।
১. শাক: বিভিন্ন মরসুমে বাংলায় নানা শাক হয়। সেগুলি খান। শাক ফাইবারে ভরপুর। ভিটামিন, খনিজ উপাদানেও ভরপুর। শাকে থাকা ফাইবার দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভর্তি রাখে। ফলে বারবার খিদের সম্ভাবনা এড়ানো যাবে।
২. সবজি: শাকের মতোই বিভিন্ন মরসুমি সবজি খান। তবে সবজি অতিরিক্ত সেদ্ধ করবেন না। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। সবজির উজ্জ্বল রঙ যেন বজায় থাকে।
৩. ছোট মাছ: মৌরলা, বাটা, কাঁচকির মতো ছোট মাছে ফ্যাট কম। অন্য়দিকে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও প্রোটিন ভরপুর। তাই সাধারণ মাছ বলে এগুলি উপেক্ষা করবেন না।
৪. চিকেন: ওজন কমাতে চাইলে মাটনের তুলনায় চিকেন খাওয়াই শ্রেয়। প্রোটিনে ভরপুর। তাছাড়া চিকেনের প্রোটিন পেশি তৈরি করতেও সাহায্য করে। ব্যায়াম করলে অবশ্যই চিকেন খান।
৫. উপকারি ফ্যাট: ওজন কমাচ্ছেন বলে ফ্যাট সম্পূর্ণ বাদ দেবেন না। কাঁচা আমন্ড, আখরোট, চিনে বাদাম, ঘি, অলিভ অয়েল খান। তবে সীমিত পরিমাণে খাবেন। বেশি খেলে অনেক বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়ে যাবে। তাছাড়া পেটে ব্যাথার সমস্যাও হতে পারে।
৬. ফার্মেন্টেড খাবার: টক দই, ইডলি, পান্তার মতো ফার্মেন্টেড খাবারে উপকারি ব্যাকটেরিয়া থাকে। গবেষণা বলছে, এটি ওজন কমানোয় সহায়ক হতে পারে।
৭. আটা: ময়দা, ভাতের বদলে আটার রুটি খান। এটি ফাইবারে ভরপুর। পেট অনেকটা সময় ধরে ভর্তি থাকবে। মাল্টিগ্রেইন আটার রুটিও খেতে পারেন।