Sattu Health Benefits: ছাতুর উপকারিতার অন্ত নেই। অথচ অনেকটাই যেন উপেক্ষিত। ছাতু যে শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী, সেই ধারণা অনেকেরই নেই। শুধু তাই নয়। ছাতু খেতেও বেশ সুস্বাদু। ছাতু মাখা তো হয়-ই। এছাড়াও শরবত, লিট্টি, ছাতুর রুটি বানানো যায়। অর্থাত্ মিষ্টি হোক বা নোনতা, দুইভাবেই ছাতু খাওয়া যেতে পারে।
ছাতুতে দারুণ পুষ্টি
ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত ছাতু খেলে উপকার পাবেন।
ছাতুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। অর্থাত্ এটি খেলে সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত শর্করার মাত্রা বাড়ে না। অনেকটা সময় ধরে ধীরে ধীরে হজম হয়। সেই কারণে ডায়াবেটিস থাকলে ব্রেকফাস্টে ছাতু রাখা যেতে পারে।
ব্যায়াম করলে কিংবা বাড়ন্ত শিশুদের শরীরে বেশি প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে ছাতু দারুণ উপকারে আসতে পারে। রোজ ছাতু খেলে তা প্রোটিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করবে।
ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। সেই কারণে ছাতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ছাতু কীভাবে খাবেন?
চিনি দিয়ে ছাতু খেতে ভাল লাগে। কিন্তু নিয়মিত চিনি খাওয়া ঠিক নয়। তাই নোনতা করেই ছাতু খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ছাতুর সরবত
একটি গ্লাসে দুই চামচ ছাতু নিন। এবার তাতে মিহি করে কুঁচিয়ে রাখা পেঁয়াজ ও কাঁচা লঙ্কা দিন। এক কুচি লেবুর রস এবং বিট নুন দিন। চাইলে এতে এক চামচ জলজিরাও দিতে পারেন। এবার গ্লাসে জল ঢেলে দিন। কাঁটা চামচে করে ভাল করে গুলে নিন। এতে পেটও ভরবে, জলও পান করা হবে।
ছাতুর রুটি
রুটি বানানোর সময়ে ভিতরে ছাতুর পুর দিতে পারেন। কড়াতে ভাজা মশলা ও অল্প নুন দিতে ছাতু নাড়াচাড়া করে নিন। এরপর সেটি কচুরির মতো রুটির ভিতরে পুর হিসাবে ভরে দিন। রুটি খেতে সুস্বাদু হবে, উপকারও পাবেন।
ছাতুর শেক
ফ্রিজের ঠান্ডা দুধে ২ চামচ ছাতু দিন। এরপর তাতে ১-২ চা চামচ মধু দিন। ভাল করে গুলে নিন। ছাতুর শেক তৈরি। দুধও খাওয়া হল, আবার অন্যরকমভাবে ছাতু খাওয়া হল।