বাঁশ, একটি কাষ্ঠল চিরহরিৎ উদ্ভিদ। এটি মূলত এক ধরণের ঘাস যা, নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায়। বাঁশকে ঘাস পরিবারের বৃহত্তম সদস্য হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এক একটি গুচ্ছে প্রায় ১০-৭০/৮০ টি বাঁশ গাছ একত্রে দেখা যায়, যাকে বাঁশ ঝাড় বলে। অনেকেরই অজানা খাদ্য হিসেবেও বাঁশ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
মূলত পাহাড়ি অঞ্চলে এই বাঁশ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বাঁশের যে অংশ খাওয়া হয়, তা কোড়ল বা ব্যাম্বু শ্যুট (Bamboo Shoot) নামে পরিচিত। প্রতি বছর ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব বাঁশ দিবস (World Bamboo Day) পালিত হয় মানুষের মধ্যে বাঁশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং বাঁশ শিল্পের প্রচারের জন্য।
চীনের অধিবাসীরা বাঁশের কোড়লকে ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’ বলে অভিহিত করেন। পৃথিবী জুড়েই বাঁশ কোড়লের কদর রয়েছে। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে এটি প্রায় নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় থাকে। পাহাড়ি অঞ্চলে বাঁশের কোড়ল দিয়ে রকমারি সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়। যার মধ্যে ব্যাম্বু শ্যুটস স্যুপ, স্যালাড, তরকারি বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানে সমতলেও রান্না হচ্ছে ব্যাম্বু শুট। বিভিন্ন বাজার ছাড়াও অনলাইনেও শহরে মিলতে পারে এই খাদ্য।
বাঁশের অঙ্কুরোদগম হওয়ার পরে ৪ -৬ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হওয়া পর্যন্ত কচি বাঁশই হল ব্যাম্বু শ্যুটস। মুলি বাঁশের কোড়ল সবচেয়ে সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিতে ভরপুর বাঁশের কোড়ল। এর উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন, আপনিও। জানুন কী কী গুণাগুণ।
বাঁশের কোড়ল কেন উপকারী? (Bamboo Shoot Health Benefits)
* শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় বাঁশের কোড়ল।
* এটিতে ফাইবার থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশম এবং হজমশক্তি বাড়াতে পারে।
* বাশেঁর কোড়ল হাঁপানী রোগীদের সুস্থ থাকতে ভূমিকা রাখে।
* এটি উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে বাঁশের কোড়ল খেলে।
* ডায়াবেটিস রোগীরা বাঁশের কোড়ল খেলে দারুণ উপকার পাবেন।
* এটি খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। ফলে ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে বাঁশের কোড়ল।
তবে খেয়াল রাখতে হবে বাঁশের কোড়ল সূর্যালোক থেকে দূরে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও এটি কাঁচা বা বাসি অবস্থায় খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।