Egg, The Nutrition Source: একটি সেদ্ধ মুরগির ডিমে ফোলেট, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন বি ১২, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন এ থাকে। এছাড়াও ডিমে ভিটামিন ডি, ই, কে এবং বি৬ থাকে। এগুলি থেকে মোট ৭৭ ক্যালোরি শক্তি, ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। সেদ্ধ ডিম খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং উন্নত দৃষ্টিশক্তিতে সহায়তা করতে পারে।
মুরগির ডিম আপনার দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। ডিম উচ্চ মানের প্রোটিন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ১৩টি অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস। ডিমের সাদা অংশের ৬০% উচ্চ মানের প্রোটিন সামগ্রীর সঙ্গে তাদের সংমিশ্রণ এগুলিকে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের চাহিদার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান করে তোলে।
সারা বছরই ডিমের চাহিদা থাকে। কোনও মরসুমেই এর চাহিদা কমে না। এই সময় শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই রোজ ডিম খান। কিন্তু জানেন কি দিনে কটা ডিম খাওয়া উচিত বা দিনে কটার বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়? পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনই বেশি ডিম খাওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু জানেন কি দিনে কটা ডিম খাওয়া উচিত?
তাহলে দিনে সর্বাধিক ক’টা ডিম খাওয়া যায়?
আমরা যদি একটি গোটা ডিম খাই, আমরা ৫ ৬ গ্রাম প্রোটিন এবং মোটামুটি ৬ গ্রাম ফ্যাট পাই। ডিমের কুসুমে ৯৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। একটি সুস্থ শরীরের জন্য, দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলের প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে, যদি প্রতিদিন ৫টি করে ডিম খাওয়া হয়, তাহলে ৪৭৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল শরীরে ঢুকবে যা আমাদের দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। তাই দিনে দু’টো ডিমই খাওয়া যথেষ্ট। তাই স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে ডিম খাওয়া যেতেই পারে। তবে অবশ্যই তা মেপে খান। তবেই সুস্থ থাকবেন।