২০২০ করোনার আবির্ভাবে পর গোটা পৃথিবী বদলে গিয়েছে। তখন থেকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত লাগাতার কোভিডের একাধিক ভয়ঙ্কর ভেরিয়েন্ট সামনে এসেছে। যা এটারই আভাস দিচ্ছে যে ভবিষ্যতে এই রোগের আরও ভেরিয়েন্ট বা এই ধরনের আরও কিছু রোগ আসতে পারে। এই ক্রমে কিছু হেলথ এক্সপার্টরা চমকে দেওয়ার মতো সাবধানবাণী দিয়েছেন এবং বলেছেন যে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গোটা পৃথিবীর হার্ট ফেলিয়র মহামারী দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
এই এলার্ট জাপানের শীর্ষ অনুসন্ধান সংস্থা রিকেন এর বৈজ্ঞানিকদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে। তারা বিগত দিনে প্রকাশিত একটি নতুন রিপোর্টে দাবি করেছেন যে মানব কোশিকাগুলি ভিতরে করোনাভাইরাস এসিই ২ এর সঙ্গে আটকে যায়। এটি হার্টের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কমন। এটাও বলা হয়েছে যে যে সমস্ত লোকেদের কোভিড হয়েছে, বর্তমানে তাদের মধ্যে অনেকেরই হার্ট ঠিকমতো কাজ করছে না। যদিও এর পেছনে কারণ অজ্ঞাত কিন্তু মনে করা হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে আমরা এই ধরনের আরও অনেক ঘটনা দেখতে পাব। যার মধ্যে লোকেদের লাগাতার হার্ট অ্যাটাক হবে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে কোভিড ১৯ মহামারীর পরিস্থিতিতে অনেকটা বদলে দিয়েছে। কারণ সার্স কোভিড টু এর লাগাতার সংক্রমনের কারণে ভবিষ্যতে হার্ট ফেলিওরের আশঙ্কা খুব দ্রুততার ভাবে বাড়ছে। এর মধ্যে আরও বলা হয়েছে যে, যদিও এর শক্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সার্স কোভিড-টু সংক্রমণে হার্ট ফেলিওরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কি না সেখানে রিপোর্টে এ বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে, যদি সময় থাকতে এর উপায় না করা যায়, তাহলে গ্লোবাল হেলথ কেয়ার আকার এটি উঠে আসবে।
ইউকে এবং গোটা পৃথিবীর অধিকাংশ অন্য দেশে গত কিছু সপ্তাহে jn.1 নামে স্টেনের কারণে কোভিড সংক্রমণে বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি যে, তাতে ওই সমস্ত লোকেদের সম্ভাব্য হৃদয় সম্পর্কিত সমস্যা সম্ভাবনা বাড়বে। রিসার্চ সেন্টারের লিডার হিদেতোশির মতে এই গোটা বিষয়টির উপর নিজের দাবির পক্ষে সওয়াল রেখে বলেছেন যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কিছু লোকেদের হার্টে লাগাতার ভাইরাল সংক্রমণ হতে পারে। তিনি এটাও বলেছেন যে, 'হৃদয় বিফলতা মহামারী' এর প্রস্তুতির জন্য একটা পরীক্ষা প্রণালী এবং তার উপশম পদ্ধতি স্থাপন করা উচিত। যাতে হার্ট ফেল হলে আমরা খুব দ্রুত তাকে চিকিৎসা দিতে পারি।