আপনারও কি প্রায়ই চোখে নানা সমস্যা থাকে? চোখের কোণার জল আসে? চোখ খুব ক্লান্ত এবং ভারী দেখায়? সেক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। বর্তমান সময়ে, বেশিরভাগ মানুষেরই এই সমস্যা হয়। আসলে এর মূল কারণ হল, আমাদের জীবনধারা। প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাটে বেশিরভাগ মানুষের। এর ফলে আমাদের চোখ সম্পূর্ণ বিশ্রাম পায় না।
একদিকে চোখ বিশ্রাম পায় না এবং মানসিক চাপ থাকে, অন্যদিকে আমাদের সঠিক খাবারের ঘাটতিতে চোখ পুষ্টি পায় না। ফলে ধীরে ধীরে চোখ দুর্বল হতে শুরু করে এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। কাজ কমানো সম্ভব না। তবে খাদ্যাভাসে এমন কিছু পরিবর্তন করা যায়, যা চোখের জন্য উপকারী। ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন এই খাবারগুলি, তাহলে চোখ ও দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকবে।
আমলকি
আমলকি , চোখের জন্য খুব ভাল। এতে উপস্থিত উপাদান বছরের পর বছর দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। আপনি যদি চান, খাদ্যতালিকায় কাঁচা আমলকি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এছাড়া সকালে খালি পেটে গুজবেরি জুস পান করা বা গুজবেরি জ্যাম খাওয়াও উপকারী হবে।
এলাচ
এলাচ শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে। এটি নিয়মিত খেলে চোখের শীতলতা আসে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনি চাইলে এলাচ ও মৌরি পিষে পাউডার তৈরি করতে পারেন। এই গুঁড়ো ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে পান করলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
সবুজ শাক- সবজি
আয়রন সমৃদ্ধ শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন আপনার ডায়েটে। যে সব শাক-সবজিতে প্রচুর আয়রন পাওয়া যায়, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি খেলে দৃষ্টিশক্তি কখনই দুর্বল হয় না।
আখরোট
আখরোটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। আখরোটে উপস্থিত ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় চোখ সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় আখরোট অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না।
গাজর
গাজরের রস পান করা শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, চোখের জন্যও খুব উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস পান করলে চোখের চশমা পরতে হবে না।
ভেজানো বাদাম
ভেজানো বাদাম খেলে উপকার হয়। জলে ভেজানো বাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। অন্যান্য গুণের পাশাপাশি ভেজানো বাদাম খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়।
জাম
জাম অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এতে মজুত ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির একটি ভাল উৎস।
ডিম
ডিম প্রোটিনের একটি ভাল উৎস এবং চোখ সুস্থ রাখতে এটি খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।