যুগ যুগ ধরে, ভারতীয় রান্নাঘরে খাবারকে সুস্বাদু করতে এবং স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ঘি ব্যবহার হয়। ঘি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হওয়া পরিশোধিত মাখন। খাবারের স্বাদ- গন্ধ বৃদ্ধিতে রান্নায় ঘি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘি-এর তুলনা নেই। দেশি ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। ঘিতে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
যদি সঠিক পরিমাণে রোজকার খাবারে ঘি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে যে কোনও কিছুর অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া যেমন মারাত্মক, তেমন ঘি খেতে হবে সীমিত পরিমাণে। জেনে নিন, সঠিক পরিমাণে ঘি খেলে শরীরের কে কী উপকার হয়
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ঘিতে রয়েছে CLA (কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড), যা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে CLA শরীরের চর্বি কমাতে এবং ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। CLA হিমায়িত চর্বি গলতে এবং চর্বি কোষের আকার কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনার শরীরে চর্বি দ্রুত জমতে শুরু করে, তাহলে ঘি সহায়ক হতে পারে।
হজমশক্তি উন্নত করে
ঘি পাচনতন্ত্রের উন্নতির পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ঘি খাওয়া আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও, ঘি দিয়ে যে কোনও খাবার খেলে, এতে উপস্থিত পুষ্টির শোষণ বাড়ে, ফলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়।
হার্টের সমস্যা
বিশ্বাস করা হয় যে, রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকায় হার্ট সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে দ্বারা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, ঘি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
খিদে দমন করে
ঘি খেলে খিদে কমে যায় এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এটি বারবার খিদে পাওয়া থেকে বাধা দেয় , ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যায় না। এছাড়াও, ঘি খেলে শরীর দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে।
ক্রমাগত শক্তি মেলে
স্টার্লিং এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক রাভিন সালুজার মতে, কার্বোহাইড্রেট শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে বা কমাতে পারে। কিন্তু ঘি এমন একটি চর্বি যা, শরীরে শক্তি জোগায়। এই শক্তি খিদে কমায় এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও থাকে না।