পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি শারীরিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বিভিন্ন সময়ে হরমোনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে মহিলাদের উচিত স্বাস্থ্যের আরও যত্ন নেওয়া। ডঃ টম জেনকিন্স বলেন যে, অনেক সময় মহিলারা ৪০ বছর বয়সের আগে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে মনে করেন। কিন্তু এরপরে হঠাৎ করে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু সমস্যা শুরু হয়। হঠাৎ করে এই সমস্যা হয় না। নিজেদের সঠিক যত্ন না নেওয়ার, কারণে এই সমস্যা হয়। ৫ টি গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে প্রতিটি মহিলার সতর্ক হওয়া উচিত, চল্লিশ বছর বয়সের পরেই।
অস্টিওপোরোসিস
মহিলাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। যার কারণে মেনোপজের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। ফলে সময় মতো চিকিৎসকের কাছে যান এবং FRAX স্কোর সম্পর্কে তথ্য নিন এবং পরবর্তী ১০ বছরে ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানুন। আপনার হাড় দুর্বল হলে, চিকিৎসক আপনাকে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেবেন।
স্তন ক্যান্সার
গবেষণা থাকে জানা যায়, প্রতি ২৮ জন নারীর মধ্যে একজনের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। যদি আপনার নিকটাত্মীয় মধ্যে কেউ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তব নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করান।
সার্ভিকাল ক্যান্সার
সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত বেশিরভাগ মহিলার বয়স ৩৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। এটি থেকে বাঁচতে, প্রতি তিন বছর অন্তর স্ক্রিনিং করা উচিত। এর পরীক্ষা মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়।
রক্তশূন্যতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমান করে যে, বিশ্বব্যাপী ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৩০ শতাংশ মহিলা রক্তাল্পতায় ভুগছেন। এর কারণগুলি হল শক্তির অভাব, শ্বাসকষ্ট, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া। এর জন্য ডাক্তারের কাছে যান। তিনি আপনার RBC পরীক্ষা করবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনার চিকিৎসা করবেন।
উচ্চ কোলেস্টেরল
৪০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে। এটি সাধারণত উচ্চ কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে ঘটে। আপনি যদি ধূমপান করেন, বা পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তাহলে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকবেন। কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ বেশি হলে, শরীরের বার্ষিক পরীক্ষা করান।