গত কয়েক বছর ধরে ভারতসহ সারা বিশ্বে হৃদরোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা তরুণদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। খারাপ জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান-ধূমপান এবং ব্যায়ামের অভাব হৃদরোগ বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
আপনি যদি আপনার হৃৎপিণ্ডকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই পাঁচটি স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
১. গোটা শস্য
গোটা শস্য যেমন ওটস, স্প্রাউট, বাদামী চাল এবং কুইনোয়া ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টকে শক্তিশালী করে। এতে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার হৃৎপিণ্ডের বিশেষ যত্ন নিতে, আপনার খাদ্যতালিকায় পালং শাক, মেথি, কালে এবং ব্রকলির মতো সবুজ এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। সবুজ শাকসবজি শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. সয়া
সয়াবিন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পরিচিত যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া টফু এবং সয়া দুধের মতো সয়া জাতীয় খাবারও হার্টকে সুস্থ রাখে। এগুলিতে কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী পুষ্টি থাকে এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি বজায় থাকে।
৪. শুকনো ফল এবং বীজ
শুকনো ফল এবং বীজ হৃদরোগের জন্য খুব ভাল। এগুলি মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সহ ফাইবার সমৃদ্ধ যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বাদাম এবং বীজ যেমন বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এবং শণের বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা রক্তচাপ কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
৫. বেরি
বেরিগুলিতে এমন যৌগ রয়েছে যা হৃদরোগকে উন্নত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। বেরি, ব্লুবেরি এবং স্ট্রবেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদান থাকে, যা ফলকে রঙ দেয়। এই রঙ্গকটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে এবং শরীর থেকে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।